কলকাতা: 'কাল দুপুর তিনটেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হব। যেটাতে সরাসরি তিনি যুক্ত, ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল। তার সমস্ত টেন্ডার ও কাগজপত্র নিয়ে হাজির হব সাংবাদিকদের সামনে'... ফের দুর্নীতি-তথ্য ফাঁসের হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary)। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)- সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু।
এর আগেও, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির কথা জানেন, যা ফাঁস করবেন। নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে আজই বলেছেন, টবড় বড় কথা বলছেন। যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানে হারাব। কেন্দ্রের পুলিশ থাকবে, আগামীবছর আপনার বুথে হারাব' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর। 'সাহস থাকলে মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের একটিতে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করুন', শুভেন্দুকে পাল্টা আক্রমণ কুণাল ঘোষের।
আজই, নন্দীগ্রামে হার নিয়ে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা ভুলে গেছেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন,' বিধানসভায় মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুভেন্দুর নেতৃত্বে ওয়াকআউট বিজেপির (BJP) । পাল্টা বাইরে সাংবিধানিক সম্মেলন করে শুভেন্দুর দাবি, 'হ্যাঁ জিতেছি। তাই আপনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। আপনি মামলা করেছিলেন, বিচারপতি বদলালেন। দু বছর পেরিয়ে গেল। আপনার মামালর রিটে সবই কানে শোনা। চোখে দেখা কিছু নেই। একই বিল্ডিংয়ে ৩টি আসনের গণনা হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি তৃণমূলও জিতেছিল।'
অন্যদিকে, গত দু'মাস ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরের। নারীনিগ্রহ, অগ্নিসংযোগ, খুনের অভিযোগ উঠে আসছে ভূরি ভূরি। সেই নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতিদের দাবিতে একজোট বিরোধীরা। সেই আবহেই মণিপুর হিংসার আঁচ এসে পড়েছে এ রাজ্য়েও বিধানসভাতেও। সোমবার বিধানসভার বিএ কমিটির বৈঠকে তৃণমূল সিদ্ধান্ত নেয়,মণিপুরে হিংসার ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনার। শুরুতেই এর বিরোধিতা করেছে বিজেপি।
রাজ্যের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে পারে না সরকার। কারণ এটা এখনও সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আমাদের বিধানসভায় বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করার অনুমতি দেন না অধ্যক্ষ। ফলে আমরাও মনে করি, মণিপুর নিয়ে আলোচনা করার কোন সুযোগ নেই। তবে যদি শেষ পর্যন্ত তাঁরা আলোচনা চান, আমরা আলোচনায় প্রস্তুত ।"
আরও পড়ুন: Teacher Transfer : প্রশাসনিক কারণে শিক্ষক বদলিতে রাজ্যের সিদ্ধান্তে সিলমোহর হাইকোর্টের