ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali Chaos) ঘটনায় আহত কনস্টেবলের সফল অস্ত্রোপচার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বের করা গিয়েছে মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত। আগামী কয়েকদিন সন্দীপ সাহাকে রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। 


কী ঘটেছিল?


গতকাল রাতে সন্দেশখালির শীতুলিয়া ক্যাম্পে ঢুকে কনস্টেবলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ মল্লিকবাজারে বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে আসা হয় ওই কনস্টেবলকে। হাসপাতালের চিকিৎসদের সন্দীপ জানিয়েছেন, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাতেই রক্ত বেরোতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত অবস্থাতেই তিনি তাঁর আরেক সহকর্মীকে ফোন করে ডাকেন। তাঁর অবস্থার কথা জানান। এরপরই খবর দেওয়া পরিবারকে। সন্দীপ তাঁর স্ত্রী এবং জামাইবাবুকে জানিয়েছেন ঘটনার সময় কেউ তাঁর মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে। কিন্তু কে বা কারা এই কাজ করে, তা দেখতে পাননি বলেই জানিয়েছেন আহত কনস্টেবল। এই ঘটনায় তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের দুই নেতা-সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।   


হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬টা ৫ নাগাদ শুরু হয় অস্ত্রোপচার, শেষ হয় ৬টা ৫৫ নাগাদ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত বের করা গিয়েছে। এদিন প্রথমে তাঁকে রাখা হয় ITU-কে। বিশেষজ্ঞ নিউরো সার্জেন্টদের তত্ত্বাবধানে চলছে তাঁর চিকিৎসা। আগামী চারদিন রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। মাথায় চোটের ফলে আর কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যই এই পর্যবেক্ষণ রাখতে হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্ত জমাট বাঁধা ছাড়া মাথায় আর কোনও গুরুতর আঘাত নেই। তাই বিপন্মুক্ত হলেও আপাতত ভর্তি থাকতে হবে হাসপাতালে। 


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছিলেন সন্দেশখালির ঘটনায় আহত সন্দীপ সাহা। জানা গিয়েছে, গত কয়েকবছর তাঁর পোস্টিং ছিল বসিরহাটে। পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তেহট্টের বেতাইয়ের বাসিন্দা সন্দীপের। আড়াই বছর বয়সী শিশু পুত্র এবং স্ত্রী তাঁর কাছেই থাকতেন। দোলযাত্রায় বাড়ি এসেছিলেন। তারপর থেকেই স্ত্রী-পুত্র বাড়িতেই ছিলেন। পুলিশ কর্মীর উপর আক্রমণের ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবার।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Sealdah: ভোগান্তির দিন শেষ, শীঘ্রই শিয়ালদা থেকে সব ট্রেন ১২ কোচের, দিনক্ষণ জানাল রেল