সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক হোমগার্ডের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট নাগাদ রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকে। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম তাপি থোকদার। তাঁর বাড়ি ইটাহারে। নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা হোক কিংবা আত্মঘাতীর ঘটনা খুব একটা কম নয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, কেন বারবার  ঘটছে এই ঘটনা ?

  


 প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল আরও একটি ঘটনা। পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে (Purulia Police Line) গুলিবিদ্ধ হয়ে কর্মরত এনভিএফ কর্মীর (NVF Personnel Death) মৃত্যুতে চলেছিল হইচই। মৃতের নাম সুশীল কিস্কু।  প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছিল, নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতেই প্রাণ গিয়েছিল তাঁর। গত জানুয়ারি মাসে নিউটাউনে টেকনো সিটি থানার পুলিশ ব্যারাকে অ্য়াসিস্ট্য়ান্ট সাব ইন্সপেক্টর অভিজিৎ ঘোষের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চলে। সাব ইন্সপেক্টর কৌশিক ঘোষের পায়ে গুলি লাগে। সল্টলেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।


অভিযুক্ত ASI-কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। দুর্ঘটনাবশত গুলি চলেছিল নাকি বিবাদের জেরে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছিল ? এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ।  ঘটনার দিন টেকনো সিটি থানার অফিসার্স ব্যারাকের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছিলেন ডিসি নিউটাউন।  পুলিশ সূত্রের খবর, অভিজিৎ ঘোষ আগে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফে। এসটিএফের একাধিক অপারেশনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, আগে বাইশ সালের জুন মাসে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার পার্কসার্কাস এলাকা।  


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


২০২২ সালের জুনে, পার্ক সার্কাসের রাস্তায় সার্ভিস রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল চোডুপ লেপচা। পরে সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে আত্মঘাতী হন ওই কনস্টেবল। ভরদুপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল খাস কলকাতার বুকে। গুলিতে মৃত্যু হয় এক তরুণীরও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চালান এক পুলিশ কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এক বাইক আরোহী মহিলা। পরে ওই পুলিশ কর্মীও নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। তাঁর দেহের পাশেই পড়ে ছিল রাইফেল। বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের ৫০ মিটার দূরেই এই ঘটনা ঘটে।