কলকাতা: রিষড়াকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিশানায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তদের তোপের মুখে 'তৃণমূলনেত্রী।' তবে একযোগে, দিনের শেষে এবার ট্যুইটে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে তোপ দাগলেন বামেদের বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
এদিন তিনি ট্যুইটে বলেছেন, 'বিভাজনের রাজনীতি সেঁকে বিজেপি-তৃণমূল উভয়েই আপাতত লাভের অঙ্ক গোনে।' প্রসঙ্গত, হাওড়ার (Howrah) পর রাম নবমীর (Rama Navami) মিছিল ঘিরে অশান্ত হুগলির রিষড়ায় (Rishra Violence)। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন। কিছুই যায়নি বাদ। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। পুলিশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বা থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়। এই ইস্যুতে আজই শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অপরদিকে, রিষড়াকাণ্ডে যখন তোলপাড় বাংলা, তখন বিজেপির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতারাও খোঁজ নিচ্ছেন এনিয়ে। রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রাজ্যের রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত বঙ্গ বিজেপির (BJP) কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট তলব করেন তিনি। ৩ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব। আর এমনই একটা পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, রিষড়া জ্বলছে, আর গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে।
মূলত দীঘায় , পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার সবকিছু খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দীঘা সফরে মমতা। আর এই ইস্যুতেই এবার সুজন চক্রবর্তীও ট্যুইটে লেখেন, 'বাংলা যখন শঙ্কিত, মুখ্যমন্ত্রী তখন দীঘার সমুদ্র তটে ! ভাবা যায়।' প্রসঙ্গত, শিবপুরকাণ্ডের পরও সাংবাদিক বৈঠকে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, 'তোষণের রাজনীতি তৃণমূল নেত্রীর' বলে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, রামনবমীর মিছিলে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিকে দেখতে PG হাসপাতালে শুভেন্দু
শুভেন্দু, এর কারণ ব্যাক্ষা করে বলেছিলেন, 'দিদি তথাকথিত ধর্নার মঞ্চ থেকে পরশুদিন, রামনবমীর অনুষ্ঠানকে, তার শোভাযাত্রাকে , রামনবমী পালনকে সকলের সামনে ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছিলেন। আপনাদের জেনে রাখা দরকার রামনবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। গত দু-তিন মাস ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এবং অসংখ্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার সংগঠনগুলি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই রামনবমীর অনুষ্ঠান, কোভিড পরবর্তী সময়ে, যেহেতু সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, বিপুল উৎসাহ , উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।'