কলকাতা : বাড়িতে থাকা প্রতিটি বস্তু (Vastu) ও দিকের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এমনই বলছে বাস্তুশাস্ত্র। বাস্তু অনুসারে, বাড়ির প্রতিটি দিক থেকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক শক্তি (Positive and Negative Force) উভয়ই উদ্ভূত হয়। বিভিন্ন দিক থেকে নির্গত শক্তি বাড়ির সদস্যদেরও প্রভাবিত করে। যদি নেতিবাচক শক্তি নির্গত হয়, তাহলে বাস্তু দোষ হতে পারে। ঘরের বাস্তু দোষের লক্ষণ বাড়ির সদস্যদের মধ্যে দেখা দেয়। আসুন জেনে নিই ঘরে বাস্তু দোষ থাকলে কী ধরনের সমস্যা হয় এবং কীভাবে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বাস্তু দোষের প্রভাব-
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির পূর্ব দিক উঁচু হলে বাস্তু দোষ হয়। বাস্তু দোষের কারণে পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
বাস্তু দোষ থাকলে বাড়ির লোকের কাজে বারবার বাধা আসে। বাড়ির সদস্যদের ভাগ্য খারাপ থাকে। অনেক সময় বাস্তু ত্রুটির কারণে তৈরি কাজগুলিও নষ্ট হয়ে যায়।
বাড়ির পূর্ব দিকে ত্রুটি থাকলে পরিবারের সদস্যদের পেট সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে হয়। অন্যদিকে, পশ্চিম দিকে বাড়ির বারান্দার ঢাল পরিবারের কর্তার উপর প্রভাব ফেলে। তাদের অনেক রোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে।
বাড়ির পশ্চিম দিকেও বাস্তুর ত্রুটি ধরা পড়ে। বাড়ির পশ্চিম দিক নিচু হলে বাস্তু দোষ হয়। বাড়ির ছেলেমেয়েদের এই দোষের কুফল বয়ে বেড়াতে হয়। এর প্রভাবে লেখাপড়া বারবার ব্যাহত হয়। বাড়ির মূল দরজা পশ্চিম দিকে থাকলেও বাস্তু দোষ থাকে।
বাড়ির মূল দরজা যদি পশ্চিম দিকে করা হয় তাহলে খরচ বৃদ্ধি পায়। বাড়ির পশ্চিম দিকের বাস্তু দোষ দূর করতে এই দিকে অশোক গাছ লাগাতে হবে।
বাড়ির উত্তর দিক থেকেও বাস্তু দোষ ধরা পড়ে। এতে বাড়ির সদস্যদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়। এই দিকের বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পেতে ঘরের উপাসনাস্থলে বুধ যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। বাড়ির প্রবেশদ্বারে উইন্ডচাইম বসিয়ে বাস্তুর ত্রুটিও দূর হয়।
বাড়ির মূল দরজা যদি দক্ষিণ দিকে থাকে, তাহলে বাড়ির সদস্যদের প্রায়ই ঋণের জালে পড়তে হয়। এই দিকে বাস্তু দোষের কারণে বাড়িতে সবসময় অশান্তি লেগেই থাকে।
আরও পড়ুন ; একাধিক গ্রহের পরিবর্তন, এপ্রিলে ব্যবসায় লাভের মুখ দেখতে চলেছেন কারা ?
ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।