কলকাতা : স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির ( Bengal Recruitment Scam ) মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই কার্যত বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) । বিরোধী দলের নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীদের একযোগে নিশানা করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বললেন, 'যে সুজন চক্রবর্তী ( Sujan Chakraborty ) , দিলীপবাবু ( Dilip Ghosh ) , শুভেন্দুবাবুরা ( Suvendu Adhikari ) বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন,
উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন। তাঁরা ২০০৯-১০-এ সিএজি রিপোর্ট পড়ুন' !
'আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না'
দিলীপ , শুভেন্দু, সুজনকে নিয়ে পার্থর দাবি, 'যে সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছে, যেহেতু আমি তাঁদেরকে বলেছি, করতে পারব না, আমি নিয়োগকর্তা নই। আমি এব্যাপারে কোনওরকম সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। '
সুজনের প্রতিক্রিয়া
পার্থর এই মন্তব্যকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে সময়কালের উল্লেখ করেছেন, সেই সময়ে বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপট নিয়ে । সুজন বলেন, ' ২০০৯-১০-এ নাকি সুপারিশ করা হয়েছিল ওঁর কাছে। ২০০৯ সালে কোথায় ছিলেন? তখন তো সরকারে কেউ না বলেই আমার ধারনা, বিরোধী বলেই আমার মনে হচ্ছে। আমি এবং আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তালিকা প্রকাশ করবেন। আমরা বলছি করুন। তাঁর ক্ষমতা নেই। করলে আপনি ধরা পড়ে যাবে, বাম আমলে নিয়োগ মানে স্বচ্ছতা, আর তৃণমূল আমলে নিয়োগ মানে টাকার খেলা! '
কুণালের ট্যুইট
তবে শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে বিরোধীদের আক্রমণ করাই নয়। গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা দিয়েছে, কুণাল ঘোষের ট্যুইট। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, ট্যুইটারে লিখেছেন, ' শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক।
দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ
করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি?
তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।'
এদিন সকাল ১১টা ৪২ মিনিটে এই ট্যুইটটি করেন কুণাল ঘোষ। আর বেলা ১২টার পর আদালতের বাইরে বিরোধীদের নিশানা করে বক্তব্য রাখেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই মিল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ !
আরও পড়ুন :
আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক পার্থ ! আনলেন শুভেন্দু, দিলীপ, সুজনের নাম