প্রদ্যুৎ সরকার, নদিয়া : মুকুল রায় ও বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলকে 'আয়ারম গয়ারম রাজনীতি' বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৩৭ তম রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নদীয়ার নবদ্বীপে। সেখানেই তোপ দাগেন তিনি।


মুকুল রায়ের দলত্যাগ প্রসঙ্গে ফের সরব সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'সিবিআই থেকে বাঁচতেই আগে তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছিলেন মুকুল রায়।  এই জেলা থেকেই বিজেপির হয়ে জেতেন তিনি। আবার পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বলে আবার তৃণমূলে ফেরেন। এটা অনৈতিকতা, এ বাংলার মানুষ কখনও এ জিনিস দেখেননি।'

সুজন আরও বলেন, এ রাজনীতি যারা এনেছেন, তাঁরা আসলে মানুষের স্বাধীন চিন্তাকে খুন করতে চায়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা বিমান বসুও। তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বারংবার তদন্ত করতে আসা নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি । সুজন বলেন, '৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট সরকার ছিল এই রাজ্যে । কিন্তু কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে ডাকতে হয়নি। কিন্তু যে সরকার ১১বছরে পড়ল কিন্তু বারবার এ সংস্থা ডাকে , সে সংস্থা ডাকে। এত ডাকে কেন? গোড়াতেই কোনও গলদ আছে এটা বুঝে নিতে হবে। ' এছাড়াও তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান।

শনিবার রাজনীতির ময়দানকে চমকে দিয়ে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। একসময় ফুটবলারদের দলবদলকে কেন্দ্র করে তেতে থাকত কলকাতার ময়দান। আসানসোলের সাংসদের দলবদল ঘিরেও যেন সেই উত্তাপ! ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে থেকে রাজ্য রাজনীতিতে দলবদলের পর্ব শুরু। এরপর গত বিধানসভা ভোটের আগে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়! আবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রির পর, দেখা যায় উল্টো স্রোত। বিজেপির বিধায়ক শিবিরে ভাঙন ধরায় তৃণমূল! এই আবহেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আসানসোলের ২ বারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল! 
যা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।