কলকাতা: 'গোলি মারো শালো কো, এই জাতীয় প্ররোচনামূলক, অসভ্যের মতো কথা যাঁরা বলেন তাঁদের অন্যদের কাউকে হুঁশিয়ারি বা জ্ঞান দেওয়ার সুযোগ নেই', হাওড়ার অশান্তি (Howrah Violence) নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Union Minister Anurag Thakur) মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty)। সঙ্গে অবশ্য তৃণমূলকেও (TMC) কটাক্ষ করলেন সুজন। বললেন, 'যাঁরা রাজ্য পরিচালনা করছেন তাঁরা রাজধর্ম পালন করছেন না বলে একসময়ে গুজরাত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। ...পশ্চিমবঙ্গে রাজধর্ম পালন করা হচ্ছে এ কথা কেউ বলতে পারবেন না।'


আর কী? 
প্রবীণ সিপিএম নেতার কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন তাঁর ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রবল। তা হলে নবান্নর পাশে এমন ঘটনা ঘটতে দিলেন কেন? নাকি এরকম একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারলে বিভাজনের রাজনীতির সুবিধা হবে যাতে বিজেপি-তৃণমূলের লাভ হবে? এই কারণেই কি তিনি নরম ছিলেন? পুলিশমন্ত্রীর দোষটা কি তিনি বলতে পারলেন না? নাকি কিছু ঘটনা ঘটতে দিলে সাময়িক রাজনৈতিক মুনাফা পাওয়া যাবে, এই কারণে তা ঘটতে দিলেন?' সোজা কথায়, সে দিনের অশান্তির জন্য বিজেপি-তৃণমূল কাউকেই রেয়াত করেননি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।


কী বলেছেন অনুরাগ? 
হাওড়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। প্রশ্ন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আভাস থাকলে যথেষ্ট পুলিশ কেন ছিল না? এর অর্থ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনেশুনেই চোখ বন্ধ করে ছিলেন?রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন না হলে কঠোর পদক্ষেপ হবে।' পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর বার্তা, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। দিল্লি থেকে দাদাগিরি বন্ধ করুন। রামনবমীর মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র এল কী ভাবে, আগে তার জবাব দিন। প্রসঙ্গত, এদিন শিবপুরে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। অশান্তির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি, বলল পুলিশ। মন্ত্রী অরূপ রায়ের ক্ষেত্রে ছাড় কেন, পুলিশকে প্রশ্ন করলেন সুকান্ত। পুলিশের সঙ্গে বচসা রাজ্য বিজেপি সভাপতির। রাজ্যপালের কাছে নালিশেরও হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত। রামনবমীর মিছিলে বেতাইতলায় দুই আক্রান্তের বাড়িতে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। যেখানে অশান্তি হয়েছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শনে যেতেন সুকান্ত। যে ৪টি বহুতলে ইটবৃষ্টি হয়েছিল, দেখার কথা ছিল সেটিও। কিন্তু এদিন সে সব কিছুতে রাজ্য় বিজেপি সভাপতিকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন:শোভাবাজারের কাছে লাইনে অস্বাভাবিক শব্দ, বন্ধ হল মেট্রো