কলকাতা: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সবে। এবার বাংলার শিক্ষা জগতের মনীষীদের সম্মান জানালেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। এর পর যান কলেজ স্কোয়্যারে। লেখানে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা পরান তিনি। যদিও সেই নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে এখন প্রায়শ্চিত্ত করছেন বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
রবিবার প্রথমেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সুকান্ত। এর পর কলেজ স্কোয়ারে গিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে ফুল নিবেদন করেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণে বাঙালি মনীষীরাই পথিকৃৎ। তাঁদের ছাড়া বাঙালির অস্তিত্বই অসম্পূর্ণ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায়, ভগিনী নিবেদিতা, এঁদের অবদান ছাড়া বাঙালির উদ্ধার পাওয়া সম্ভব ছিল না।"
অতি সম্প্রতি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত।পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি পদেও আসীন রয়েছেন এখনও পর্যন্ত। দিল্লিতে শপথগ্রহণের পর কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, "কেন্দ্রে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর কলকাতায় মনীষীদের স্মৃতি বিজড়িত যে যে জায়গায় গুলি রয়েছে, সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলাম। তাঁদের দেখানো পথই অনুসরণ করে চলতে চাই।" ভগিনী নিবেদিতাকে শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানান সুকান্ত।
এ নিয়ে যদিও সুকান্তকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য, "ওরাই ভেঙেছিল, এখন প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছে। অমিত শাহের মিছিল থেকে ওরাই সেদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। এখন দেখাতে হচ্ছে যে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিতে হয়। সেই জন্যই যাচ্ছে।"
২০১৯ সালের ১৪ মে কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন অশান্তি বাধে। সেই সময় বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ভাঙা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। সেই ঘটনাকে ঘিরে তুলকালাম বাধে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর, যাকে ঘিরে তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতিও। ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে তরজা সপ্তমে ওঠে। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল ও বিজেপি। এর পর জুন মাসে, বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে নতুন বিদ্যাসাগরের মূর্তি বসানো হয়। সুকান্ত আজ মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন কুণাল।