অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নবদ্বীপে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ের পিছনে থাকা গাড়িতে হামলা অভিযোগ! এখানেই শেষ নয়, হামলার পাল্টা হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে নবদ্বীপ বাস স্ট্যান্ডে তুলকালাম কাণ্ড! অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রথমে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল, পাল্টা INTTUC অফিসে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে জেলা বিজেপি সভাপতির গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রথমে। এর পাল্টা নাকি INTTUC অফিসে ঢুকে হামলার চেষ্টা করেছে বিজেপি! তৃণমূলকর্মীদের পাল্টা হামলায় রক্তাক্ত একাধিক বিজেপি কর্মী, এমনটাই জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় এলাকা ছাড়লেন সুকান্ত মজুমদার। নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জে ক্যাম্প অফিস উদ্বোধন করে ফেরার সময় হামলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় সুকান্ত মজুমদার বলছেন, 'ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমরা আজকে এখানে পুজো পরিক্রমায় এসেছিলাম। সেই সময়ে আমাদের কর্মীদের, আমাদের নেতাদের গাড়ি ধরে ধরে ভাঙচুর করা হয়। তাঁরা পিছিয়ে পড়েছিলেন। তাই পুলিশের কাছে গিয়ে রাস্তা জানতে চান। পুলিশ ঠিক মতো রাস্তা বলতে পারেনি। শেষে বাস স্ট্যান্ডের কাছে যখন গাড়ি ঘোরাতে আসে, তখন তৃণমূলের কিছু মদ্যপ নেতা, কর্মী ও তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনায় মাথা ফেটে যায় এক বিজেপি কর্মীর। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, 'ইঁট লাঠি সবকিছু দিয়ে মেরেছে। এখানে কেবল গাড়িটা পার্কিং করেছিলাম বলে এইভাবে মারল।
জানা যাচ্ছে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ের কয়েকটি গাড়ি রাস্তা ভুল করে বাস স্ট্যান্ডে চলে এসেছিল। তারপরেই এই বিপত্তি। ওই গাড়ির ওপর তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় এলাকা ছাড়েন।
অন্যদিকে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগে কৃষ্ণনগরে থানা অভিযানে বেরিয়েছিলেন বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেই অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি দেখা গেল কৃষ্ণনগরে। থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক থেকে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি-র কর্মীরা। IC-কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলল বিজেপি।
সুকান্তর দাবি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে IC-কে। (Krishnanagar News) বুধবার সুকান্তর সঙ্গে কৃষ্ণনগরে থানা অভিযানে শামিল হন শত শত বিজেপি কর্মী। সেখানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয় পুলিশের। এক মহিলা পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা যায়, "আমরা ২৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ডিউটি করি। সত্যিটা কী আমরা জানি। ভাসানের ডিউটি ২৪ ঘণ্টার বেশি হয়। প্রত্যেক পুলিশ ২৫ ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন।" (Sukanta Majumdar)
এতে বিজেপি-র তরফে বলা হয়, "আইসি-কে ক্ষমা চাইতে হবে।" কিন্তু ওই পুলিশকর্মী পাল্টা জবাবে বলেন, "কেন ক্ষমা চাইবেন আইসি? কী অন্যায় করেছেন? পুলিশ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ডিউটি করে। আপনারা পুরো সত্য না জেনে কথা বলছেন। আগে জেনে আসুন পুরো সত্যিটা। ২৪ মিনিটের ভিডিও দেখে ২৪ ঘণ্টার বিচার পারেন না।"