সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : পুলিশের বাধা, পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়া, ধাক্কাধাক্কি, তারপরই দুর্ঘটনা। রীতিমতো জখম হয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে থেকে কলকাতায় আনায় হয়েছিস সুকান্ত মজুমদারকে। তারপর হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। অবশেষে ৪ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত মজুমদার। সবুজ টি-শার্ট পরে বেরোলেন হাসপাতাল থেকে। হাত নেড়ে অভিবাদনও জানালেন সবাইকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকটাই ভাল আছেন তিনি।
সূত্রের খবর, শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত। কোমরের চোট এখন অনেকটাই সেরেছে। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখে বেরিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, তিনি সন্দেশখালি নিয়ে খুবই চিন্তিত। মিঠুন বলেন, 'উনি যেতে চাইছিলেন, কিন্তু ডাক্তাররা বললেন, না আজকে নয়। কালকে যাবেন। তবে এটুকু বুঝছি যে, কলারটা ওনাকে ব্যবহার করতে হবে কিছুদিন, কেননা আঘাতটা একটু বেশি এখানে কলারবোনে, ব্যাকে হয়েছে। সব সময় বলছেন সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে দেখো দাদা। সন্দেশখালিয়ে যেতে চায়। ওখানকার মা-বোনদের সঙ্গে থাকতে চায়।'
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে, টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন তিনি। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই পড়ে যান সুকান্ত মজুমদার। অচৈতন্য হয়ে যান। বিজেপির অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদার পুলিশের যে গাড়ির উপর দাঁড়িয়েছিলেন, আচমকা সেই গাড়িতে স্টার্ট দেওয়া হয়। তাতেই পড়ে যান সুকান্ত। প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল তারপর কলকাতায় এনে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে।
আরও পড়ুন : আবারও নামল পারদ? ফেব্রুয়ারির শেষে খেল দেখাবে শীত?
অ্যাপোলো হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের ICU-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেদিন একাধিকবার বমি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্তর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে সুকান্তকে দেখতে যান বিজেপির কর্মকর্তারা। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবারই দেখা করে আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথোপকথন হয় সুকান্তর। বিজেপি সূত্রের খবর, দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেখা করতে গিয়েছিলেন সৌরভ।