নয়া দিল্লি: যখনই আমরা পৃথিবীর (earth) সবচেয়ে দামী জিনিসের কথা বলি, তাদের মধ্যে অবশ্যই যে নাম থাকে তা হীরে। পৃথিবীতে এমন হীরে রয়েছে যার মূল্য অনুমানও করতে পারবেন না। কোহিনূর তারই উদাহরণ। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে পৃথিবীতে বর্তমান কোনো হীরে সম্পর্কে নয়, এমন একটি গ্রহ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যেটি নিজেই সম্পূর্ণ হীরে দিয়ে তৈরি। এর প্রতিটি স্তর হীরের? (planet)
পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা (scientist) যদি ভবিষ্যতে এখানে একটি মহাকাশযান পাঠাতে সফল হন, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের হাতে একটি করে হীরে থাকবে বলেই অনুমান।
হীরক গ্রহটি পৃথিবী থেকে কত দূরে?
যে গ্রহের কথা বলা হচ্চে তার অফিসিয়াল নাম হল 55 Cancri E। এটি ২০০৪ সালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর থেকে বিশ্বের সব মহাকাশ সংস্থার নজর রয়েছে এই গ্রহের দিকে। বিজ্ঞানীরা রেডিয়াল বেগের মাধ্যমে এই গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন। এটির সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হল এই গ্রহটি কোনও সূর্যের চারপাশে ঘোরে না বরং এমন নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে যেগুলির কার্বণ অনুপাত বেশি, যার কারণে কেউ কেউ এই গ্রহটিকে এক্সো-গ্রহও বলে।
কীভাবে এই পুরো গ্রহটি হীরে দিয়ে তৈরি হল?
হীরে প্রাকৃতিকভাবে তখনই তৈরি হয় যখন কার্বনকে খুব বেশি তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়। এই গ্রহের ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটেছে বলে অনুমান। প্রকৃতপক্ষে, এই গ্রহে কার্বনের অনুপাতও বেশি এবং এটি যে নক্ষত্রগুলি ঘোরে সেখানেও কার্বনের অনুপাত বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, যখন এই গ্রহগুলি কার্বন নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে, কখনও কখনও তাদের তাপমাত্রা এত বেশি হয়ে যায় যে তাদের উপর উপস্থিত গ্রাফাইট হীরেতে পরিণত হয়।
এই গ্রহের একটি বিশেষ জিনিস হল এখানে সময় খুব দ্রুত চলে যায়। আসলে এখানে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় একটি বছর পূর্ণ হয়। এই গ্রহের তাপমাত্রা ২ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। অন্যদিকে, আমরা যদি পৃথিবী থেকে এর দূরত্বের কথা বলি, তাহলে এটি পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো এবং আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা এই গ্রহের উপর নজর রাখছে বলে খবর।
আরও পড়ুন, অঙ্কে 'শূন্য' প্রাপ্তি মেয়ের, সই করে মায়ের লেখা চিঠিই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না।