কলকাতা : রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে DVC-র বিরুদ্ধে অনিয়ন্ত্রিতভাবে  জল ছাড়ার অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা বৃষ্টিতে বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের জেলার পর জেলা।  রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি । এই নিয়ে হালে DVC র উদ্দেশে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।   সংঘাত এতটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে,  DVC-র অফিস কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলেও কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই দুষছে বিজেপি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে, ধারনক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছনোর আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের অধীনে থাকা বাঁধগুলি, বিস্ফোরক অভিযোগ করছে বিজেপি। বন্যার জন্য ডিভিসি-কে দায়ী করে ইদানিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগগুলিকে মিথ্যে বলে দাবি করল বিজেপি। 


নবান্নেরই সতর্কবার্তা প্রকাশ্যে এনে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ করলেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, DVC-র  জল ছাড়া নিয়ে আগেই ৮ জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আগাম খবর ছিল নবান্নর কাছে। সুকান্ত লিখেছেন, 'মা মাটি মিথ্যা তার নাম মমতা। ডিভিসি জল ছাড়বে জেনে দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলাকে সতর্ক করে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নবান্ন থেকে চিঠি পাঠায়। এখন বলছেন ম্যান মেড বন্যা!!! কেন্দ্রীয় সরকারের নামে অপপ্রচার বন্ধ করুন। আপনাকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। করবে না।' 


কী আছে ওই মেমোতে ? সেখানে  উল্লেখ আছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের মেমোতে ৮ জেলাকে সতর্ক করা হয়। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জেলাশাসকদের মেমো পাঠানো হয়। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে দ্রুত জলস্তর বাড়ছে, জানিয়েছে DVRRC ও CWC। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়বে DVRRC।  বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে তা মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার মানুষকে প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে সরাতে হবে।  


বন্যার জন্য কে দায়ী? কেন্দ্র না রাজ্য? এই চাপানউতরের মাঝে ঘর-সংসার ভেসে গিয়েছে হাজার হাজার মানুষের। রাজনৈতিক আকচা - আকচি পেরিয়ে কবে স্বস্তির দিন দেখতে পাবে মানুষ ? 


আরও পড়ুন 


নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে বৃষ্টি কাঁটা, আবহাওয়া দফতর থেকে এল বড় সতর্কবার্তা