কলকাতা: দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের নেতাদের গ্রেফতারিতে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে টাকা আটকে রেখে রাজ্যকে শায়েস্তা করার কথাও উঠে এসেছে বিজেপি নেতাদের মুখে। ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়ে সে কথা উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে। দয়ার টাকা নয়, রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তিনি। তাতে মমতাকেই আবার কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, এই বলছেন টাকা লাগবে না, আবার বলছেন, টাকা কেন দেবে না। মমতার বয়স হয়েছে, অবসর নেওয়া উচিত বলে মত সুকান্তর। 


কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে, অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


মঙ্গলবার প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এটা কারও দয়ার টাকা নয়, রাজ্যের প্রাপ্য। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বাধ্যতামূলক সত্ত্বেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি, তাও টাকা দিচ্ছে না, এবার কি পায়ে ধরতে হবে! প্রাপ্য টাকা দিতে হবে, নইলে জিএসটি বন্ধ করো। প্রাপ্য টাকা দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে।"


প্রাপ্য টাকার দাবিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে তির-ধনুক নিয়ে রাস্তায় নামার আবেদনও জানান মমতা। বলেন, "আপনাদের টাকা আটকে রেখেছে। এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে আপনাদের বলব আপনারা তির-ধনুক নিয়ে নামুন, ধামসা-মাদল নিয়ে নামুন। কী নামবেন তো?"


আরও পড়ুন: Nisith Pramanik: সোনার দোকানে চুরির মামলা, নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা


মমতার এই মন্তব্য সামনে আসতেই কটাক্ষ ছুড়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, গতকাল বললেন, টাকা লাগবে না, আজ বলছে টাকা দিতে হবে, মাথা খারাপ হয়ে গেল না কি?বয়স হয়েছে। এই মুখ্যমন্ত্রীর আর পদে থাকার দরকার নেই। কেন্দ্রের কাছে এক পয়সাও বাকি নেই রাজ্যের। কেন্দ্র টাকা দেবে আর তৃণমূল চুরি করবে, তা হবে না। এদের এক পয়সাও দেওয়া উচিত নয়।"


তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলকেই তীব্র কটাক্ষ সিপিএম নেতৃত্বের


যদিও তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই শিবিরকেই কটাক্ষ করেছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "এ বলছে টাকা দিচ্ছে না, কেন্দ্র বলছে টাকা দিচ্ছে। সেন্ট্রাল টিম পাঠাক না। এখানেই তো খেলা, ফ্রেন্ডলি ম্যাচ চলছে। দু-পক্ষ শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক না।" সব মিলিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের ঝাঁঝ বেড়েই চলেছে।