রাইপুর (বাঁকুড়া): 'আমি নন্দীগ্রামে (Nandigram) কম্পার্টমেন্টাল বানিয়ে দিয়েছি, ভীষণ রাগ, জ্বালা। আমাকে কার্ড-ফুল পাঠাচ্ছে। বাংলার বেকার (unemployed) যুবক-যুবতীদের বলব, পিসি-ভাইপোর নামে একটা করে পোস্টার পাঠান', রাইপুরের (Bankura) সভা থেকে হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। সঙ্গে সংযোজন, 'গোটা বাংলাকে এই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।' উল্লেখ্য, শুভেন্দুর এই সভার জন্যই প্রথমে অনুমতি দিয়েও বাতিল করেছিল প্রশাসন। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সভার অনুমতি পান বিরোধী দলনেতা।
কী বললেন শুভেন্দু?
দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল সরকারকে বিরুদ্ধে মৃত্য়ুঞ্জয় মুর্মুর কথাও তুললেন শুভেন্দু। বললেন, 'জব কার্ডের সুপারভাইজার ছিলেন, তাই না? কত বড় বাড়ি করেছ এখন? কুর্মিদের তো কোনও উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন মৃৃত্যুঞ্জয় মুর্মুর হয়েছে, জ্যোৎস্না মান্ডির হয়েছে।' নাম না করে তালড্যাংরার বিধায়ককেও কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতার দাবি, হাতেগোনা কয়েকজন বাদে জঙ্গলমহলের মানুষ বঞ্চিত। তাঁর কথায়, 'তাই গ্রামের মানুষকে এবার অধিকার বুঝে নিতে হবে।'
কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে...
একের পর এক কেলেঙ্কারি নিয়েও এদিন ফের সুর চড়াতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দুকে। বলেন, 'দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকা গোটাকয়েক নেতা আসানসোলের কয়লা, পুরুলিয়ার কয়লা, গঙ্গাজলঘাটি-বড়জোড়ার কয়লা চুরি করে। আমাদের বালি চুরি করে। পাথর চুরি করে। বাংলাদেশে গরু পাচার করে। টাকা লুঠবে? আমাদের রাষ্ট্রপতির চোখের অপারেশন হয় সেনা হাসপাতালে আর পিসির ভাইপো, তিনি যান আমেরিকার সবচেয়ে বড় নামী হাসপাতালে।' নাম না করলেও বিরোধী দলনেতার আক্রমণের নিশানায় কে, সেটা মোটামুটি দিনের আলোর মতো স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন অনেকে। হালেই চোখের অপারেশন করাতে মার্কিন মুলুকে যেতে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'এঁরা গরিবের প্রতিনিধি?' প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর এই সভার অনুমতি দিয়েও ১১ নভেম্বর তা বাতিল করেছিল পুলিশ। কারণ হিসেবে পুলিশ জানায়, অন্যত্র গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাজনিত ডিউটি রয়েছে। ফলে সভায় প্রয়োজনীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয়। এদিকে রাইপুর মাওবাদী অধ্যুষিত। তাই নিরাপত্তার কারণে সভার ছাড়পত্র সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত, গত কাল সভার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জানায়, আজ, রাইপুরে শুভেন্দুর সভা হবে। নির্দেশ দেওয়া হয় সভায় থাকবে সিআইএসএফ। সহযোগিতা করতে হবে পুলিশকেও।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গি প্রতিরোধে 'ব্যর্থতার' অভিযোগ, হাওড়া পুরসভা অভিযান বিজেপির