কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : বাংলা থেকে কাউকে ক্য়াবিনেট মন্ত্রী করলেন না নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi ) । উল্টে গতবার বাংলা থেকে ৪ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, এবার সংখ্য়াটা কমিয়ে করা হল ২। কিন্তু প্রথমবার মন্ত্রী হয়েই জোড়া দায়িত্ব পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar )। একসঙ্গে পেলেন শিক্ষা ও উত্তর পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। মঙ্গলবার কাজ বুঝে নিলেন সুকান্ত মজুমদার। আর দফতরের কাজ শুরু করার আগে   নিলেন অগ্রজপ্রতিম দিলীপ ঘোষের আশীর্বাদ। 


২০১৯ এ বাংলায় দিলীপের নেতৃত্বে বিজেপি পেয়েছিল ১৮ টি আসন। আর ২০২৪ এ বিজেপি পেল ১২ টি আসন, যখন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বঙ্গে হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থীদের হার হল, যার মধ্যে রয়েছেন দিলীপ ঘোষও। এই ফল প্রকাশে আসার পরই দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে দলের অতীত ও বর্তমান কর্মকর্তাদের নিয়ে তুল্যমূল্য বিচার হয়েছে। ফল বেরনোর পর দিলীপ ঘোষের গলাতেও ঝরে পড়ে উষ্মা। সরাসরি কারও নাম না করেই, দল কেন তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। এই আবহেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে দিলীপ ঘোষকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন সুকান্ত মজুমদার। 


মোদির তৃতীয় মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কেউ পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাননি।  শুধুই ২ জন প্রতিমন্ত্রী। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার মানুষ বারবার প্রশ্ন তুলছে, মোদির কোনও মেয়াদেই বাংলা থেকে কেউ পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পাননি। তাই প্রশ্নটা ওঠেই, কেন? বঙ্গ বিজেপিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাব, মানলেন সুকান্ত মজুমদারও। বললেন, 'সময় এলে হবে, তার আগে নিজেদের তৈরি করতে হবে। বঙ্গ বিজেপিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাব। তাও আমার মতো আনকোরা লোককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন মোদি। এমন গুরুত্বপূর্ণ ২ প্রতিমন্ত্রী, ক্যাবিনেট মন্ত্রীর চেয়ে কম কিছু নন' বললেন তিনি।  


সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, জোড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে সুকান্ত মজুমদার। এই পরিস্থিতিতে তবে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব কে নেবে? সুকান্ত জানালেন, আপাতত তিনিই বিজেপির রাজ্য সভাপতি।   


এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র খাঁ। বললেন, 'আমরা ২ কোটি ৩৮ লক্ষ মানুষের ভোট পেয়েছি। আমরা কর্মীরা, আপসেট। কারণ, আমরা পূর্ণমন্ত্রী পাইনি। পূর্ণ মন্ত্রী থাকলে অনেক কাজের সুবিধা হয়। কেন পাইনি উপরওয়ালা জানে। ' 


আরও পড়ুন :


কাঠফাটা গরমের মধ্যেই এল খুশির খবর, এই দিন থেকেই শহর ও জেলায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি