কলকাতা: "লুট করে ভোট জেতা বা ছাপ্পা দিয়ে ভোট জেতার কোনও মানে হয় না। আপনি গণতন্ত্র যদি সত্যি বিশ্বাস করেন তাহলে বিরোধীদের ভোট দিলে সেটা আপনাকে মেনে নিতে হবে।'' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্য পাল্টা বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।


কী বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? 


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সাগরদিঘিতে যে অনৈতিক জোট হয়েছে তার আমরা কঠিন সমালোচনা করি। সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির ভোটও যোগ হয়েছে। অধীর চৌধুরীকে ধন্যবাদ যে তিনি সত্য কথা স্বীকার করে বলেছেন যে বিজেপিও কংগ্রেসকে সাহায্য করেছে। এরকম অনৈতিক জোট হলে কংগ্রেস-সিপিএম কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? এই পরাজয় থেকে এটাই আমাদের শিক্ষা।' প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।                                                         


এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমাদের বিরোধীরাও অনেক সময় জেতে। আমরা সহাস্য বদনে সেটা মেনে নিই। জানি পরের বার আরও বেশি খেটে, আরও বেশি লড়াই করে আমরা ফিরে আসব। মুখ্যমন্ত্রী খুব বেশি হতাশ হননি। মনে মনে আনন্দই পাচ্ছেন। কংগ্রেস এবং সিপিএম বাড়লে মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা। যেহেতু বিরোধী ভোট সিংহভাগ ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আছে। তাই বিভ্রান্ত করা যাবে যে বিরোধী কে! তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যায় বলেই তো ৭৭টা ভোট পেয়েছিলাম। বহু সিট অনেক কম ভোটে পরাজিত হয়েছি। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। হারানো যায় না এরকম বিষয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু দিনের বাসনা, বিরোধী ভোট যেন ভাগ হয় এবং তৃণমূল কংগ্রেস যেন রাজ করে।''


সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে জয়ী কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। তৃণমূলকে হারিয়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। ২০২১-র ভোটের পরে বিধানসভায় যাচ্ছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি। ২২ হাজারের বেশি ভোটে কংগ্রেসের কাছে সাগরদিঘিতে হার তৃণমূল প্রার্থীর। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থী পেলেন ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট। সাগরদিঘিতে তৃণমূল প্রার্থী পেলেন ৩৪.৯৪ শতাংশ ভোট। সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থী পেলেন ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট।                                                         


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ