সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ। ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে ২০২০-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই-ইডি। 


সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ: 'কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল? নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করবে সিবিআই-ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের। ২০১৪-র টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিকে কনফিডেনসিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করেছিল পর্ষদ। পর্ষদের তৎকালীন অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতে নিতে পারবে। ওই অ্যাডহক কমিটিতে ৮০ বছরের একজন মহিলা আছেন, তাকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না। সিবিআই-ইডি নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান করবে, জানাল আদালত। সিবিআই ও ইডি আলাদাভাবে ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে, নির্দেশ হাইকোর্টের। 


অস্বস্তিতে অযোগ্য শিক্ষকরা:  কলকাতা হাইকোর্টে আরও অস্বস্তিতে অযোগ্য শিক্ষকরা। SSC নবম-দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তির ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দিলেন না বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বুধবার ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। SSC'র ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। আবেদনকারী বা কমিশনের দ্বারা সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে যেকোনও সময় সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন SSC। এরপরই SSC'র ২০১৬ সালের আইনের এই ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চায় ৯৫২ জনের একাংশ।  বৃহস্পতিবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানিতে, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, SSC নবম দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তার ওপর এখনই কোনও স্থগিতাদেশ নয়।

এদিন আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া OMR শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি, একসপ্তাহের মধ্যে এঁদের সুপারিশ পত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। বুধবার সেই সংক্রান্ত মামলায় নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষককে নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।


আরও পড়ুন: Md Salim: 'দুর্নীতি আর দুষ্কৃতীতন্ত্র থেকে মুক্তি চাইছে মানুষ' প্রতিক্রিয়া সেলিমের