কলকাতা: হাসপাতালে রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) ! ভাবছেন 'জনি এলএলবি' ছবির পার্ট থ্রি । নানা তেমনটা নয়। কারণ যেখানে ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে নাবালক সন্তানের প্রশংসা করেছিলেন। কারণ তার নাবালক সন্তান, সোজা বাবার সঙ্গে ওটি-তে ঢুকে অপারেশন করেছিল। তাঁর গর্বের শেষ ছিল না ছেলেকে নিয়ে। জেলে যাবার আগেও ছেলেকে আরও অপারেশন করার জন্য আশীর্বাদ করেছিলেন। যে বিনা ডাক্তারি পড়েই বড় সার্জন হবে তাঁর ছেলে ! তবে এক্ষেত্রে বোধহয় সেই ঘটনাকেও ছাড়াল ? কারণ এখানে কোনও নাবালক নয়, বরং প্রাপ্ত বয়স্ক একজনই এই কাজ করেছেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, হাসপাতালে রোগীর রক্তচাপ মাপতে দেখা গিয়েছে সজ্ঞানে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। এক্স হ্যান্ডলে ভিডিও পোস্ট করে মূলত এমনটাই দাবি সুকান্ত মজুমদারের (BJP Leader Sukanta Majumdar)।সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন।


'এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার'


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন,'তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার',দঃ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতির। 'হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে অনেক ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সাহায্য় করতে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার', কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া সিএমওএইচের।


আরও পড়ুন, 'ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড..', কামদুনিকাণ্ডের রায় ঘোষণা হাইকোর্টের


সরকারি হাসপাতালে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে


প্রসঙ্গত, একাধিক সরকারি হাসপাতালে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কোভিডকালে ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছিল। ভর্তি না নেওয়া থেকে শুরু করে আরও একাধিক ধরণের অভিযোগ। এমনকি ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মধ্যেই দেখা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ভিতরে জল জমার দৃশ্য। রোগীর খাটের পাশে জল।  তবে এসব কিছুই সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হলে, তা বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্যে, তোপ হিসেবে উঠে এসেছে। আর সদ্য এই সব ঘটনাকেই পিছনে ফেলে দিয়েছে সাগর দত্ত মেডিক্যালে দালাল-রাজের অত্যাচার। যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ শাসকদলেরই তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এবং তার হুঁশিয়ারির পর কার্যতই ওই হাসপাতালে নোটিস পড়ে এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।