কলকাতা: পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের রঙ্গিলাডি গ্রামেও ব্য়াপক পানীয় জলের সঙ্কট। জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জল না পেলে ভোট দেব না। পানীয় জলের সঙ্কটের মধ্য়েই এই দাবি তুলে হুগলির দেবানন্দপুরে বিক্ষোভ। অবরোধ।


অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার দেবানন্দপুরের বিশালক্ষ্মিতলা মালপাড়া সহ বেশ কয়েটি এলাকার বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসন কোথাও জানিয়েও কিছু হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ, চরম অসহযোগিতা করেছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এবার জল না পেলে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন স্থানীয়রা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণাতেও জলের জন্য় অবরোধ। পানীয় জলের দাবিতে রাস্তায় প্ল্য়াকার্ড নিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। 


কল আছে, জল নেই। তীব্র গরমের মধ্য়ে, পানীয় জলের অভাবে জেরবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের শোলাডহর এলাকা। গ্রামবাসীদের দাবি, ১ কিলোমিটার দূর থেকে বয়ে আনতে হচ্ছে পানীয় জল। অভিযোগ, প্রত্য়েক বাড়িতেই কল আছে। কিন্তু তাতে জল আসে না। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেটা হবে কবে? একটাই প্রশ্ন গ্রামবাসীদের। 


দুর্বিষহ গরমের মধ্যেই, নিদারুণ জলকষ্ট পুরুলিয়ার ঝালদার একাধিক জায়গায়। প্রতিবাদে ৭ ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন দুটি ওয়ার্ডের বহু সংখ্যক বাসিন্দা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন। 


তাপের প্রতাপ, গনগনে রোদের আঁচে পুড়ছে বাংলা। কার্যত ভাজা ভাজা হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ। আর এই দুর্বিষহ গরমের মধ্যেই, নিদারুণ জলকষ্ট শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার ঝালদার একাধিক জায়গায়। তার প্রতিবাদ জানিয়ে, রোদ মাথায় নিয়েই এবার আন্দোলন শুরু করেছেন কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভার ২ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। 


আকাশ থেকে আগুন ঢেলে দিচ্ছে সূর্য। এই পরিস্থিতিতে মাথার ওপর ত্রিপলের আচ্ছাদন খাটিয়ে, বুধবার সকাল ৭টা থেকে রাঁচি-পুরুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন দুটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ।  মাঝ রাস্তায় বালতি, জারিকেন, কলসি রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে অবরোধ। 


অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পুলিশ এসে কথা বললেও, বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলতে চাননি। তাঁদের অভিযোগ, ঝালদা পুরসভাকে বারবার জানিয়েও জল সঙ্কটের কোনও সুরাহা হয়নি।


ঝালদার বাসিন্দা বেবি মুখোপাধ্যায়ের কথায়, আমাদের জলের খুবই সমস্যা। জলের সমস্যা মিটছে না। অনেক গেছি। পুরসভাতে দরখাস্ত দিয়েও কিছু হয়নি। ২ আর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জল নেই। জল না দিলে আন্দোলন তুলব না।


ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন শিলা চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ঝালদায় জলের সমস্যা আছেই। সাপ্লাইয়ের জল যেটা পাই, পিএইচই করে পুরোটা। ওটায় পুরসভা কিছু করতে পারে না। পিএইচই-কে চিঠি করেছি। তার কপি ডিএম-কে দিয়েছি। উনারাও টেন্ডার করছেন বলে শুনেছি। আমরা পুরো ১২টা ওয়ার্ডের জন্যই বলেছি দেখে যেতে। জল সঙ্কট নিয়ে বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছে ঝালদা পুরকর্তৃপক্ষ। তারপর দুপুর দুটো নাগাদ ওঠে অবরোধ।