শান্তনু নস্কর ও হিন্দোল দে, এবিপি আনন্দ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বর্ষবরণের এই সময়টায় রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রেই পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু বছরের শুরুতে সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুব একটা মধুর হল না অনেকেরই।   চরম হয়রানির শিকার হলেন হাজার হাজার পর্যটক। লাইসেন্স না পাওয়ার প্রতিবাদে পয়লা জানুয়ারি সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় লঞ্চ পরিষেবা। 


বঙ্গোপসাগরের উপকূলে সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভের জঙ্গল সুন্দরবন। শীতের মরশুমে ইউনেস্কোর এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে দেশি বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বছর শুরুর দিনে সেই ভিড় আরও বাড়ে। আর সেদিনই বোট মালিকদের বিক্ষোভ। যার জেরে চরম হয়রানির শিকার হন পর্যটকরা। অনেকেই ফিরে যান হোটেলে। জলের মাঝে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। 


সুন্দরবনের শতাধিক জলযানের লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় নতুন বছরের প্রথম দিনেই হয়রানির শিকার হলেন সুন্দরবনে আগত পর্যটকরা। এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন সুন্দরবনের পাখিরালয় সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে। এসময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন পর্যটকরা। সুন্দরবনে এটাই ব্যবসার পিক সিজন। আর এসময়ই এমন হয়রানি। 


সুন্দরবনে আসা পর্যটকরা রীতিমতো হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর তরফ থেকে সোমবার সকাল থেকে সমস্ত জলযান বন্ধ রাখা হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পাওয়ার দাবিতে। তার জেরেই এই দুর্ভোগ। 


সুন্দরবন ট্যুরিস্ট বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর মাসে সপ্তাহে দুদিন করে বোটের লাইসেন্স রিনিউ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। অভিযোগ, প্রশাসনের ঢিলেমিতে সেই আটদিনের মধ্যেও অর্ধেক দিন কাজই হয় না। যার জেরে বহু বোটের লাইসেন্স রিনিউ করাই যায়নি। তার প্রতিবাদেই সোমবার সকাল থেকে সুন্দরবনে জলযান-পরিষেবা বন্ধ করে দেন বোটমালিকরা।

প্রায় ২ ঘণ্টা পর বোট মালিকরা লঞ্চ ছাড়তে রাজি হলেও লাইসেন্স না থাকায় বন দফতরের লাল ফাঁসে পড়তে হয়। ফলে নদীতে ঘোরাঘুরি করতে পারলেও জঙ্গলের গভীরে সুধন্যখালি, দোবাঁকি, সজনেখালি, নেতিধোপানির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঢুকতেই পারেনি অধিকাংশ বোট। 


আরও পড়ুন :


১ জানুয়ারি শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের কী দিতে চেয়েছিলেন? কেন পালন হয় কল্পতরু উৎসব?