গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষা মানেই ইলিশ (Hilsa)৷ কিন্তু এখনও যেমন দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) এসে পৌঁছয়নি বর্ষা (Monsoon), তেমন আসেনি ইলিশও (Ilish Mach)। প্রতি বছরের মতো এবছরও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ এলে হয়তো কিছুটা রসনা তৃপ্তি হতে পারে।                          


খবর, আজ মধ্যরাত থেকে উঠে যাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। রুপোলি শস্য ইলিশের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎসজীবী। আজ সকাল থেকে সুন্দরবনের ঘাটগুলোতে প্রস্তুতি চলেছে পুরোদমে। ঘাটে, ঘাটে ও ট্রলারে, ট্রলারে চলছে গঙ্গা পুজো।       


এমনকি গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের উপর সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এবার কড়া নজরদারি শুরু করেছে জেলা মৎস্য দফতর। 


আরও পড়ুন, ইতালিতে পৌঁছলেন মোদি, সারা বিশ্বকে 'নমস্তে' জানালেন মেলোনি


জেলা মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, জেলার প্রায় চার হাজার ট্রলার মরশুমের শুরুতে সমুদ্রে পাড়ি দেবে। পরে ধাপে ধাপে ট্রলারের সংখ্যা বাড়বে। প্রত্যেকটি ট্রলারে ১৫ জনের বেশি মৎসজীবী নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। গত কয়েক বছর ধরে ট্রলার ডুবে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে। সেদিকটা মাথায় রেখে এবার মরশুমের শুরুতেই গভীর সমুদ্রে যাওয়া প্রত্যেকটি ট্রলারে বিপদ সংকেত প্রেরক যন্ত্র (ড্যাট) রাখা বাধ্যতামূলক করেছে মৎস্য দফতর। পাশাপাশি প্রত্যেক ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে।                                                               


প্রসঙ্গত, প্রতি মাছ ধরার মরশুমে ইলিশের খোঁজে পাড়ি দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় ২ হাজার মাছ ধরার ট্রলার, লঞ্চ ও যন্ত্র চালিত নৌকো। পরপর দু’বছর সেভাবে ইলিশ দেখা যায়নি দিঘা সমুদ্রে। তবে চলতি বছর ইলিশ নিয়ে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে