কলকাতা ও বীরভূম: বীরভূমে মাড়গ্রামে বিস্ফোরণে জোড়ামৃত্যু। তার পরেই অপসারিত করা হল জেলার পুলিশ সুপারকে। অপসারণ করা হল বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর জায়গায় আনা হল ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে।
নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডাইরেক্টরেটের ওএসডি করা হল। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় জেলা পুলিশ সুপার হলেন কোটেশ্বর রাও। অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর এসপি হেডকোয়ার্টার ছিলেন কোটেশ্বর রাও।
কোন ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত:
বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আগেই মারা যান নিউটন শেখ। চিকিৎসার জন্য মাড়গ্রাম থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছিল লাল্টু শেখকে। সেখানেই মারা যায় লাল্টু। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসা চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল লাল্টু শেখের। চিকিৎসার সময়েই তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয় লাল্টুর। এদিনই ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক সূত্রের খবর. তৃণমূলের প্রধানের ভাই লাল্টু শেখের শরীরে একাধিক আঘাত ছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, বোমার আঘাতে আহত হওয়ার পরে কয়েকজন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই অবস্থায় বেধড়ক মারধর করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন শেষপর্যন্ত মারা যান লাল্টু শেখ।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ:
এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রীর দাবি, বীরভূমে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীকোন্দল নেই। ঝাড়খন্ড থেকে আসা মাওবাদীরা রয়েছে গতকালের ঘটনার নেপথ্যে। তাঁর দাবি, যারা নিউটন শেখকে মেরেছে তারা আগে নিশ্চিত ভাবেই বিজেপি করত। এখন কংগ্রেস করে। কলকাতার মেয়রের কথায়, 'আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত এর নেপথ্যে বিজেপিই রয়েছে। কারণ ওঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কাজ না হলে কে করবে?'
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বাইকে করে বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় তা বিস্ফোরণে ঘটেছে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি জনবহুল এলাকা হাসপাতাল মোড়ে সন্ধের দিকে ঘটনাটি ঘটলে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত বলেই আশঙ্কা। আর যে ঘটনা সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা একযোগে শাসকদলকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। পাল্টা তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ বিরোধীদের দিকে। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক লড়াইয়ে জায়গা না পেয়ে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: বড় হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে উদ্যোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করছে হাওড়া পুরসভা