বিজেন্দ্র সিংহ, নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৃণমূলের স্বস্তি। ১৯ জন তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায়, ইডি’কে পক্ষ করার, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, এবার খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণে বলে, সম্পত্তি বৃদ্ধির হারে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। পুজোর মুখে আদালতে তৃণমূলের বড়সড় স্বস্তি। সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন ১৯ জন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় ED’কে পক্ষ করার নির্দেশ দিলেও, বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। 


২০১৭ সালে ১৯ জন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিপ্লবকুমার চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। যেখানে দাবি করা হয়, ২০১১ থেকে ২০১৬’র মধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি অনেক বেড়েছে। মামলাকারী আবেদন জানান, পাঁচ বছরে সম্পত্তি কী ভাবে এত বাড়ল, তা খতিয়ে দেখুক ইডি। ১০ অগাস্ট মামলায় ইডি ও আয়কর দফতরকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। এবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ, বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।


সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছে, সম্পত্তি বৃদ্ধির হারে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি ১৯ তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির হারে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। তৃণমূল বিধায়কদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায়। আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে জানান যে এই জনস্বার্থ মামলা ভিত্তিহীন। এখানে কোনও জনস্বার্থ নেই। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার-কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের একের পর এক অস্বস্তির মধ্যেই, এবার সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় স্বস্তি পেল রাজ্যের শাসক দল। 


আরও পড়ুন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও লড়াইয়ে সামিল হচ্ছি’, পাশে থাকার বার্তা আরও এক বিচারপতির


তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি খর্ব করতেই এই মামলা। এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, হাই কোর্টে তৃণমূলের যে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, শিউলি সাহার মতো মন্ত্রী বিধায়ক। পাশাপাশি, প্রাক্তন মন্ত্রী অমিত মিত্র, বর্তমান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের নামও রয়েছে। রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।