নয়া দিল্লি : আর জি কর-কাণ্ডে আজ গোটা দেশের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানাল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী ২২ অগাস্টের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছ থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চাইল শীর্ষ আদালত। এই মামলায় হাসপাতালের পরিকাঠামোস অধ্যক্ষের ভূমিকা, পুলিশের তদন্ত, আরও নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতিরা।


এবার আর হাইকোর্ট নয়।  আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে, জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের মতো বেশ কতগুলি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করার পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এবার আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানালেন। এখন তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই জানার অপেক্ষা। 


সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরে রাখতে চায়। তাই এই মামলাটিকে শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়াই সবথেকে ভাল উপায় বলে মনে করেছেন বিচারপতিরা। তাই সিবিআই এর যে রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার কথা ছিল, তা সিবিআই জমা করবে শীর্ষ আদালতে। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা ভয় জাগানোর মতো ঘটনা। 


শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুলেছে, যেখানে দেহ দেখেই যেখানে এই ঘটনার কারণ সম্পর্কে একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে কেন সেটা রহস্য মৃত্যু হিসেবে অভিযোগ দায়ের হল। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যেখানে পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়, সেখানে কেন তৎকালীন অধ্যক্ষ কেন বলেছিলেন এটি আত্মহত্যার ঘটনা? এর আগে সন্দীপ ঘোষের এক হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা ও সঙ্গে সঙ্গে অন্য হাসপাতালে তাঁকে বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করেছিল হাইকোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টেও তেমনই প্রশ্ন তোলা হল। 

সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে,  হাসপাতালে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করল? আর জি কর কাণ্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী করে ঢুকল দুষ্কৃতীরা? সেই সঙ্গে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্ট। 


রবিবারই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট।  সর্বোচ্চ আদালতে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপের দাবি জানান একাধিক চিকিৎসক, আইনজীবী।  তাঁদের দাবি ছিল, দেশ জুড়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য়কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, এতে তাঁরা নিরপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এনিয়ে ব্য়বস্থা নিক সুপ্রিম কোর্ট।  আর জি কর হাসপাতালে খুন-ধর্ষণের মতো যে মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তাতে হস্তক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট।  শুধু তাই নয়, ১৪ই অগাস্ট রাতে, হাসপাতালে যেভাবে তাণ্ডব-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তারও দাবি ওঠে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।