কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাইকোর্টে এল বিচারপতির মামলা বদলের রায়। শুধুমাত্র ২টি মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির ২টি মামলায় বিচারপতি বদলের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বাকি মামলার শুনানি চলবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই। সৌমেন নন্দীর করা মামলায় সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। রমেশ মালিকের করা মামলাও সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। তবে তার সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া কোনও নির্দেশ স্পর্শ করা হচ্ছে না। এমনটা জানিয়েছেন খোদ দেশের প্রধান বিচারপতি।


কী কী মামলা থাকছে?
উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম, গ্রুপ সি, ডি মামলা থাকল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসেই ।


প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির ২টি মামলা সরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য কোনও বিচারপতিকে এই মামলা হস্তান্তরের জন্য হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ১৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় মন্তব্য় করেন, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত CBI, ED-র। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। 


এই প্রেক্ষিতে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে থাকা, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির ২টি মামলা, অন্য বিচারপতির কাছে সরানোর নির্দেশ দেয়। সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিকের দায়ের করা দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাস থেকে সরানো হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কপিতে লেখা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, বকেয়া মামলাগুলির শুনানির দায়িত্ব অন্য় কোনও বিচারপতিকে দিতে। 


সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এদিন সুপ্রিম কোর্টে বলেন, রায় বা নির্দেশ বিরুদ্ধে গেলেই সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে টার্গেট করার একটা প্রবণতা চলছে। কলকাতায় বিচারপতির এজলাসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এই মামলার মামলাকারী প্রকাশ্য জনসভায় বিচারপতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে এই নির্দেশে বিচারপতিদের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে। যাঁরা এইসব ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা এই নির্দেশের ফলে আরও সাহস পেয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন সলিসিটার জেনারেল। এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমরা কোনও নির্দেশকে স্পর্শ করছি না।' বিচারপতিদের হেনস্থার চেষ্টা বন্ধ করা দরকার বলেও মন্তব্য় করেন তিনি।


আরও পড়ুন:  ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?