কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের শুনানিতে আদালতে ভর্ৎসিত ED. বিচারপতি সূর্যকান্ত মিশ্রের প্রশ্ন, "আপনাদের সাজা ঘোষণার হার কত? সাজা ঘোষণার হার অত্যন্ত খারাপ, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হলেও বোঝা যেত।" শুধু তাই নয়, পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারকে যে হাতিয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। (Partha Chatterjee)
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শীর্ষ আদালতে পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল। সেখানে পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতগী জানান, গত আড়াই বছর ধরে জেলবন্দি পার্থ। অথচ এখনও বিচারপ্রক্রিয়াই শুরু হয়নি। যে মামলায় জেলে রয়েছেন পার্থ, তাতে সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা হতে পারে। অথচ তার তিন ভাগের এক ভাগ জেলে কেটে গিয়েছে পার্থর। (Supreme Court)
এর পরই ED-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি মিশ্র। তিনি বলেন, "আপনাদের সাজা ঘোষণার হার কত? সাজা ঘোষণার হার অত্যন্ত খারাপ। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হলেও বোঝা যেত।" এই মামলায় ১০০ শতাঁশ সাজা ঘোষণা হবে বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে ED. কিন্তু বিচারপতি মিশ্র বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিলে কী অসুবিধা?" (SSC case)
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়। ওই টাকা নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাপ্ত ঘুষের টাকা বলেই বরাবর অভিযোগ করে আসছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এদিন বিচারপতি মিশ্র বলেন, "কে এই অর্পিতা? শুধু তাঁর বয়ান দিয়ে হবে না, অন্য তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। প্রভাবশালী ছিলেন তিনি। কিন্তু ঘুষের টাকা কেউ নিজের বাড়িতে রাখে না।"
সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন অর্পিতা। সেই প্রসঙ্গ তুলে পার্থর আইনজীবী জানান, যাঁর বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া যায়, সেই অর্পিতা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। প্রাথমিক পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর ছেলে জামিন পেয়েছেন। শুধু পার্থই জামিন পাচ্ছেন না বলে সওয়াল করেন রোহাতগী। অর্পিতার সঙ্গে পার্থর সম্পর্ক ছিল বলে যে চাউর হচ্ছে, তা অসত্য বলেও দাবি করেন পার্থর আইনজীবী। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-কেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।