অনির্বাণ বাগচি, জঙ্গিপুর: বাইক (motorbike) চোর (thief) সন্দেহে এক জনকে বেধড়ক গণধোলাই (mass assault) জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jangipur Sub Division Hospital) চত্বরে। উত্তেজিত জনতার দাবি, তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা গিয়েছিল। তার পরই গণধোলাই দেওয়া হয়।


কী ঘটেছে?
জঙ্গিপুর হাসপাতাল চত্বর থেকে গত কয়েক দিন ধরে প্রায়ই বাইক চুরির ঘটনা ঘটচে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, আজ সকালে হাসপাতাল চত্বর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন বাইক চুরি করছিল তখনই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে রোগী পরিজনরা। এর পরই শুরু হয় মারধর। ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। তাদের সামনেই অভিযুক্তকে উত্তম মধ্যম গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। কোনও ক্রমে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, দিন চারেক আগে বালুরঘাট হাসপাতালের পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি আইসিউ অ্যাম্বুল্যান্স ভেঙে  আনুমানিক ১০-১২ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গেলে হইচই শুরু হয়। 


কী ঘটেছিল বালুরঘাটে?
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় হাসপাতাল চত্বরের পার্কিংয়ের নজরদারিতে কেউ ছিলেন না। তারই সুযোগে কেউ বা কারা আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের গাড়ির জানলা ইট দিয়ে ভেঙে ফেলে। তার পর অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে থাকা ১০-১২ লক্ষ টাকার মূল্যের মেশিনপত্র চুরি করে নিয়ে পালায়। পর দিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বালুরঘাটে মাত্র দুটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। সেই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমস্যায় পড়বে বালুরঘাটের সাধারণ রোগীরা। পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু যে বা যারা এমন কাণ্ড ঘটাল, তারা আদৌ কি ধরা পড়বে? সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, এর আগেও হাসপাতাল চত্বর থেকে নানা সরঞ্জাম চুরির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। পরিস্থিতির চাপে নড়েচড়ে বসতে হয় স্বাস্থ্য়ভবনকেও। তার আগে গত বছর জুলাই মাসে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির আগেই পুরুলিয়ায় কোভিড হাসপাতাল থেকে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুরুলিয়ার হাতোয়াড়া কোভিড হাসপাতালে তৈরি হচ্ছিল ওই প্ল্যান্ট। কাজ প্রায় শেষের মুখে ছিল। অভিযোগ, এর মধ্যে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে চুরি হয় প্ল্যান্ট তৈরির সামগ্রী। বার বার হাসপাতাল চত্বর বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী চুরির ঘটনায় সার্বিক ভাবেই নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 


আরও পড়ুন:ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার