কলকাতা: তৃণমূলকে জাতীয় দলের তালিকায় রাখতে অমিত শাহের কাছে মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দরবার করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে সরাসরি চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে, বিরোধী দলনেতাকে নাকখত দিতে হবে বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন। তা নিয়ে এ বার মমতাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন শুভেন্দু।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের কল ডিটেলস সর্বসমক্ষে আনা যায় না
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানেই মমতার চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করছেন বলে জানান। তবে ল্য়ান্ডলাইন থেকে মমতা শাহকে ফোন করেছেন বলে একদিন আগে দাবি করলেও, এ দিন ফোনের কথোপকথন বিশদ ব্যাখ্যা করতে যাননি শুভেন্দু। তাঁর যুক্তি, ভারতীয় আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের কল ডিটেলস সর্বসমক্ষে আনা যায় না। তাই মমতা চাইলে আদালতে যেতে পারেন।
এ দিন শুভেন্দু বলেন, "রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান আপনি। উচ্চ নিরাপত্তায় থাকেন। আপনার কল রেকর্ড, ডিটেলস সর্বসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা আনতেও চাই না। তথ্য জানার অধিকার আইনেও এ নিয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একমাত্র আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সব পাওয়া যায় না। তাই আমি চাই, আপনি মামলা করুন। মামলা করলে আমিও ভারত সরকারের যে TRAI আছে, তাদের মামলায় একটি পক্ষ করব আমি। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার ল্যান্ডলাইনের কল রেকর্ডস দিতে বাধ্য হবে। জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে সবকিছু।"
মমতাকে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ শুভেন্দুর
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরাসরি শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন মমতা। এ দিন শুভেন্দু বলেন, "আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম আমি। আপনিও করুন। যা কদর্য ভাষা আপনার, বাংলার মানুষ উত্তর দেবেন। আরামবাগের তৎকালীন সাংসদ অনিল বসু কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন আপনাকে। সেই সময় বাংলার মানুষ আপনার পক্ষ নেন। এখন বিরোধী দলনেতা, জাতীয় নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলছেন, তাতে যত এমন কথা বলবেন, ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন মানুষের থেকে।"