নয়াদিল্লি: দেশে যখন ফের কোভিড বাড়ছে, তখনই কোভিড সংক্রমণের কথা শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্দরেও। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে তিনি আপাতত হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন।


চিকিৎসদের একটি দল মন্ত্রীকে পরীক্ষা করেছে এবং তাঁকে কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজনাথ সিংয়ের মৃদু উপসর্গ রয়েছে। 


আজই দিল্লিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাজনাথ সিংয়ের। কিন্তু কোভিড সংক্রমণের ঘটনার পর তা বাতিল করা হয়েছে। যদিও বুধবার তিনি ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে এবং অন্য বরিষ্ঠ সেনা আধিকারিকরা। 


বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ হয়েছে ১২৫৯১ জনের। যার ফলে সারা দেশে এখন অ্যাক্টিভ কোভিড কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫২৮৬। বুধবারের বুলেটিনে নতুন সংক্রমণ ছিল ১০৫৪২টি। অর্থাৎ মাত্র একদিনেই এক ধাক্কায় ২০০০-এর মতো নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। গত সোমবার-মঙ্গলবার অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছিল কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ। এখনও পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ছত্তীসগঢ় থেকে ৪ জনের, দিল্লি থেকে ৫ জনের, হিমাচল থেকে ২ জনের, কর্নাটক থেকে ৩ জনের, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাব থেকে ১ জন করে, মহারাষ্ট্র থেকে ৬ জন, রাজস্থান থেকে ২ জনের কোভিড সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কেরলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। দেশে এখন দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৫.৪৬ শতাংশ, সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৫.৩২ শতাংশ। সারা দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ। গতকাল, বুধবারই দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি মিটিং করা হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র।


১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড ১৯-এর জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল। তাতে ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বারবার হাত ধোওয়া, অ্যালকোহল-বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাতে। কোভিড পজিটিভ হলে এক সপ্তাহ হোম আইসোলেশনে থাকার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে ধাক্কা কৃষি-স্বাস্থ্যে, বড়সড় হোঁচট ভারতের অর্থনীতিতে! আশঙ্কা রিপোর্টে