শিবাশিস মৌলিক এবং অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) একাধিক মামলার তদন্ত করছে ED এবং CBI। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়ক ও নেতারা। এই প্রসঙ্গে রামনগরের সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো বিজেপির (BJP) কথায় চলছে।                                       



স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা, সারদা, রোজভ্যালি, নারদ-সহ এ’রাজ্যে ডজন খানেকের বেশি মামলার তদন্ত করছে CBI এবং ED’র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ED’র হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন জেলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। গরু পাচার মামলায় CBI’এর হাতে গ্রেফতার হাওয়ার পর জেলবন্দি থাকাকালীন ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।                                       


এই প্রেক্ষাপটে এদিন, রামনগরের সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, "ভাইপো আজকাল অনেক কিছু বলছে। বলবো বেশি বাড় বেড়ো না। জানি অনেক জ্বালা আছে। পার্থ জেলে গেছে, সায়গল দিল্লি গেছে, অনুব্রত তিহাড় যাচ্ছে। এখনতো সংবাদমাধ্যমে যা শুনছি, ইডি নাকি ছবি বিক্রির টাকা নিয়েও টানাটানি শুরু করবে।"                                                 


আরও পড়ুন, চপ ভেজে, ঝালমুড়ি বানিয়ে প্রতিবাদের নামে অপমান! গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এটা তো ১৩ বছর আগের কেস, এখন বলছে সক্রিয় হয়ে উঠবে, ১৩ বছর ধরে কী করছিল? এটা পরিষ্কার বিজেপির কথায় ইডি-সিবিআই সক্রিয় হবে।" 


যদিও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই সরকার কি করছে, ওদের কর্মীরাই আমাদের জানিয়ে দেয়। সরকারি ৮০ শতাংশ লোক আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তারা আমাদের বলছেন, এদের যাহোক করে তাড়ানো এদের যা হোক করে তাড়ান।" পাল্টা দিয়েছেন কুণালও। তিনি বলেন, "বিজেপির ভিতরে ৯০ শতাংশ আমাদের লোক। ৭ জন মিলে বৈঠক করলে তার ৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের কাছে খবর চলে আসবে, কী নিয়ে কথা হয়েছে। বিজেপির কেউ শুভেন্দুকে নেতা মানে না।" 


পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে শাসক-বিরোধী হুঁশিয়ারি আর পাল্টা হুঙ্কারে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।