বিজেন্দ্র সিংহ, আশাবুল হোসেন, নয়া দিল্লি : আজ, সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী। মঙ্গলবার 'এক দেশ এক ভোট' সংক্রান্ত মিটিংয়ে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।  আর এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই দিল্লি পোঁছে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য গন্তব্য আলাদা ! 


সূত্রের খবর, সোমবারই শুভেন্দু অধিকারী দেখা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা-র সঙ্গে। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে অমিত শা-র সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এদিনই দিল্লিতে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই দিল্লি-সফরের মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই দিয়েছেন, ' আমাকে ১ দিনের জন্য় দিল্লি যেতে হবে। রাজনীতির জন্য় নয়, ওয়ান নেশান ওয়ান ইলেকশনের ব্য়াপারে। ওরা নাকি একটা এক্সপার্টস কমিটি করেছে, তাতে আমাকে আমার ওপিনিয়ন জানাতে ডেকেছেন। তাই আমি ৫ তারিখে সন্ধেয় যাব, ৬ তারিখে বেলা ২ টোয় মিটিং করব, করে আমি সন্ধেয় ফিরে চলে আসব। কারণ ৮ তারিখে আমার বাজেট আছে।'


এর আগে এক দেশ এক ভোট-এর বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠি দিয়েছিলেন কমিটির সচিবকে। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'সংবিধান প্রণেতারা যেখানে 'এক দেশ এক সরকার'-এর মতো ধারণার উল্লেখ করেননি, সেখানে আপনারা কীকরে 'এক দেশ এক ভোট'-এর ধারণায় পৌঁছোলেন? ' এনিয়ে পাল্টা সুর চড়ায় বিজেপি-ও। এবার বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘এক দেশ এক ভোট-এর বিরোধিতা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও জানিয়েছিলেন ' আপনারা কীভাবে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করতে চাইছেন? ১৯৫২ সালে সারা দেশে এবং রাজ্য়স্তরে একসঙ্গে ভোট হয়েছিল। কয়েকবছর এটা চলেছিল। তারপর একসঙ্গে ভোট হয়নি। একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনার কারণে, বিভিন্ন রাজ্য়ের ভোট-ক্য়ালেন্ডার এখন আলাদা। কিছু রাজনৈতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে তা পাল্টাতেও পারে। আপনাদের কমিটি কীভাবে একসঙ্গে ভোট করানোর বিষয়টি ভাবছে, এটা স্পষ্ট নয়। যে রাজ্য়ে এখন বিধানসভা ভোট নেই, শুধু একসঙ্গে ভোটের স্বার্থে, সেখানে জোর করে ভোট করানো উচিত নয়। ' 


অন্যদিকে রবিবারই রাজধানী শহরে পা রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। গত জানুয়ারির শেষে রাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের। অমিত শাহর বঙ্গ সফর সূচি তখন স্থগিত রাখা হয় আচমকাই।  পরিবর্তিত জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় নীতীশের পদত্যাগ ও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো, না মেলানো নিয়ে পারদ ছিল চরমে। 


এখন শুভেন্দুর এই অমিত-সাক্ষাতে কী কী বিষয় উঠে আসে, তার দিকেই থাকবে নজর।   


আরও পড়ুন :


ফের দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের পূর্বাভাস ! কোন জেলা ভিজবে? কোথায় ফের নামবে পারদ?