সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সন্দেশখালিকাণ্ডে ( Sandeshkhali ) ফের বিচারপতি কৌশিক চন্দের (Justice Kausik Chanda Of Calcutta HC ) দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) । ২৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার ফের জেলিয়াখালি, হালদারপাড়া-সহ একাধিক জায়গায় যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সেখানে যাওয়ার অনুমতি ও পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। কিন্তু তাতে বিচারপতির প্রশ্ন, সোমবার কেন?
সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। শুভেন্দু আইজজীবী দাবি করেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী সেটা বাড়াবে প্রশাসন'। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু যাতে সোমবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন তার অনুমতি চান ও সেই সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা চান শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী।
এই আবেদনে বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, 'আগে যে ১৪৪ ধারার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সেটার মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে আবার ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা ভাল না খারাপ সেটা আদালতকে খতিয়ে দেখার সুযোগ দিতে হবে। রাজ্যকেও তার বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিতে হবে। '
বিচারপতি আইনজীবীকে নিয়ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ' নিয়ম অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার নোটিস দিতে হয়। সোমবার কেন? অন্যদিন যান' । বিচারপতি
চন্দ বলেন, ' অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিই যাচ্ছেন। আগামী সোমবারই আপনাকে যেতে হবে এই বক্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। ওখানে তো আর মঞ্চ বাধা নেই যে আপনাকে গিয়ে বক্তৃতা দিতে হবে। সোমবারই আপনার যাওয়াটা এত জরুরি নয়। অন্য যে কোনও দিন যেতে পারেন।' শুভেন্দু অধিকারীর আর্জিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। তাছাড়া পোস্টারও ছাপানো হয়নি, মঞ্চও বাধা হয়নি, দলীয় কর্মীদেরও বলা হয়নি, ব্রিগেড চলো বলে ঘোষণাও করা হয়নি, তাহলে কেন সোমবারই ? মন্তব্য করেন বিচারপতি চন্দ।
আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন :
অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি, ভোজেরহাটেই BJP কে আটকালো পুলিশ, তর্কতর্কির পর আটক লকেট
অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR করতে চায় রাজ্য সরকার। অনুমতি চেয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। ' শুভেন্দু অধিকারীর মামলা বর্তমানে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে বিচারাধীন। প্রধান বিচারপতি এই মামলার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসকেই নির্দিষ্ট করেছেন। সেখানে চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি চলছে। তাই এখানে শুনানির প্রয়োজনীয়তা নেই। ' আদালতে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ নিতে পরামর্শ প্রধান বিচারপতির।