রানাঘাট : "উনি সর্বভুক। ডাকাত এসেছিলেন চোর ধরতে।" রানাঘাটের সভা থেকে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বলেন, "এখানে গত ১৭ তারিখে একজন এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি এক পয়সাও খাই না। তিনি কী কী খান ? কয়লা, বালি, গরু খান, মদের বোতল থেকে পাঁচ টাকা করে খান। তিনি সর্বভুক। ডাকাত এসেছেন চোর ধরতে । "


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। দিনকয়েক আগে নদিয়ায় মতুয়া গড়ে জনসভা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রানাঘাটের মিলন মন্দির মাঠে সভার আয়োজন করা হয়। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের ডাকে সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক। সেই সময় চাকদার তাতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দেন অভিষেক। সভামঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত প্রধানের খোঁজও করেন তিনি। কিন্তু, অভিষেকের সভায় উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল পরিচালিত তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দে। পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, "পার্থপ্রতিম দে, মানুষ সার্টিফিকেট দিলে আপনি প্রধান, না হলে নন। ৪ বছরে যদি গ্রামে একবারও না যান, আপনার প্রধান থাকার অধিকার নেই। সোমবার সকালের মধ্যে আমার কাছে ইস্তফা পাঠিয়ে দেবেন। ব্লক সভাপতিদের বললাম, যেখানে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার প্রভাব ব্লক সভাপতির ওপর পড়বে।''


জনসভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, "আমি এখানে চাকদা ক্রস করার সময়, রানাঘাট ঢোকার পথে তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত। পাড়ার নাম ধনিচা। গ্রামের নাম মহানালা গ্রাম। এখানে পঞ্চায়েত প্রধান আছেন? প্রধানকে জিজ্ঞেস করব, এখানে শেষ কবে গেছিলেন? প্রধান আছেন? ৪ বছর প্রধানের দেখা নেই। সে প্রধান থাকবে কেন?'' একইসঙ্গে এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দেন তিনি।


আরও পড়ুন ; কাঁথির পর চাকদা, পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ অভিষেকের


অভিষেক আরও বলেন, "আমাদেরই কিছু লোকের জন্য মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন, মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। ভুল হলে ঘরের ছেলেকে শাসন করবেন, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। ত্রুটি হলে আমাকে ক্ষমা করবেন, দলকে ক্ষমা করবেন।''