কলকাতা: উত্তরবঙ্গে অভিষেক, যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee and Mamata Banerjee)। মোতায়েন করা হচ্ছে মেডিক্যাল টিম। আর এই গোটা বিষয়টাই প্রকাশ্যে আসতেই নাম না করেই ফের জোর কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে লিখলেন, 'পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে।'


'হে মোর দুর্ভাগা রাজ্য' বলে শুরু করে তিনি লিখেছেন, আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে।' এরপরেই তিনি বলেন, সপ্তাহব্যাপী এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আজ থেকেই আগামী রবিবার অবধি এই প্রতিটি অকুস্থলে কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশ জন চিকিৎসককে, সঙ্গে সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট, অ্যাটেনডেন্টদের দুটি শিফটে ডিউটি মোতায়েন করা হয়েছে।' 






অপরদিকে কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মোতায়েন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 'মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মোতায়েন। ওই অনুষ্ঠানের জন্য দুই শিফটে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত তাঁদের দুই শিফটে ডিউটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের', মধ্যাহ্নভোজে মিড ডে মিলের মতো খাবার দেওয়া হচ্ছে, ছবি পোস্ট করে দাবি বিরোধী দলনেতার। 


প্রথম থেকেই বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতেই আক্রমণ করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রেড রোডের সভায় এদিন 'মমতা চোর' লেখা টি-শার্ট পরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর সঙ্গী বিজেপি বিধায়করা।  সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'আসল চোরেরা জেলে যাবে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সর্বংশে জেলে যাবেন।' শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'প্রথম জেলে যাবেন হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও। মিড ডে মিলের টাকা থেকে কম্বল বিতরণ করেছেন। জেলে যেতে হবে রামপুরহাটের বিডিও-কে।


আরও পড়ুন, দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা, অপরাধের শীর্ষে দিল্লি


মোদিজি বলেছেন, দরকার হলে ১ লক্ষ যুবক-যুবতীকে এজেন্সিতে নিয়োগ করব। একটা চোরকেও আমি বাইরে রাখব না। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেছেন, চোর বললেও তাঁর কিছু যায় আসে না। আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন না'। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'গতবছর সাড়ে ৫ মাস আমাকে বিধানসভার বাইরে রেখেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চোর স্লোগান শোনানোর ২ মিনিটের মধ্যে বহিষ্কার করা হয়। আগে থেকেই সব ঠিক করা ছিল।' শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'এই মুখ্যমন্ত্রীর আসল স্বরূপ বিধানসভায় প্রকাশ করে দিয়েছি। সেই জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'