কলকাতা: হাসপাতালে তৃণমূল বিধায়কের 'দাদাগিরি'-র অভিযোগ, খোঁজ নিতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে গেলেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, 'তেমন কিছু হয়নি, যার জন্য জনপ্রতিনিধি ক্ষুব্ধ হবেন। যা করার করবে স্বাস্থ্য ভবন, এ নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই।'
আরও পড়ুন, 'নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না চিহ্নিত দাগিরা', ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা SSC-রাজ্যের
বৃহস্পতিবার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে গিয়ে সেখানকার ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী এবং চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শশী পাঁজা। এদিন শশী পাঁজা বলেন, ড. রহমানের সঙ্গে কথা বলে যখন বোঝা গেল যে, তেমন কিছু অসুবিধা সৃষ্টিও হয়নি। যার জন্য, ঘটনাটা ঘটেছে, কিংবা মাননীয় জন প্রতিনিধি কিংবা তাঁর বাড়ির লোক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমাদের ডাক্টাররা খুব কোঅপারেট করেছেন। তারাও চাইছেন। আমরাও সেটাই বলছি। বিষয়টা প্রশমিত হোক। আমরা মাননীয় বিধায়কের সঙ্গেও কথা বলব। আমি মাননীয় স্পিকারকেও এই বিষয়টা বলেছি। সে কথা বলুক। প্রত্যেকেই প্রতিবাদ জানাবেন, কিন্তু এখানে যেন রাজনীতিকরণ না কেউ করে।
মূলত বুধবার দুপুরে সকুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে যান কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর দিদিমাকে ত্বকের চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে নিয়ে প্রথমে চর্মরোগ বিভাগ ও পরে মেডিসিন বিভাগে যান কাঞ্চন মল্লিক।অভিযোগ, সেই সময় মেডিসিন বিভাগে রোগীর ভিড় ছিল। অন্য রোগীদের দেখছিলেন মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান মেহবুবার রহমান।অভিযোগ, তাতেই মেজাজ হারান তৃণমূল বিধায়ক। চিকিৎসকের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। এমনকী তাঁকে বদলি করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন। আর এই নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর পর্যন্ত।
স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এর মেহবুবার রহমান বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা আমার একটু খারাপ লেগেছে। আমি জানিয়েছি লিখিত। মনে হল যে, ওনাদের হয়তো একটু ওয়েট করতে হল তাই। কেন রাগলেন উনি আমি বুঝতে পারিনি। তবে ওনার ব্যবহারটা আমার খুব খারাপ লেগেছে। জোরে নয়, তবে স্বাভাবিকভাবেও নয়। ডাক্তারের সঙ্গে ওভাবে কথা বলা যায় না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঞ্চন মল্লিক। এদিকে শেষ অবধি পাওয়া খবরে এখনও কোনও FIR দায়ের হয়নি।
অপরদিকে, এই নিয়ে চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কাঞ্চন মল্লিক তো বারেবারে বেপরোয়া কাজ করে। বারে বারে করে। এদের মাথায় পিসির হাত রয়েছে অতএব এরা বেপরোয়া। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চোধুরী বলেন,প্রত্যেকটা হাসপাতালের এক অবস্থা। আজকে কসবাকাণ্ড ঘটার পর, আপনার শিক্ষা দফতর দেখে নিলাম, আর জি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য দফতর দেখে নিলাম, বাংলার প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেকটা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, এই কসবা এই আর জি কর হয়েই আছে। সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি।