সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নতুন নিয়োগে ঘিরে ফের হাইকোর্টে রাজ্য-স্কুল সার্ভিস কমিশনের ধাক্কা।'নতুন নিয়োগে অংশ নিতে পারবে না চিহ্নিত দাগিরা', সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন, নবান্নে ওমর আবদুল্লা, মুখ্যমন্ত্রীকে ভূস্বর্গে যেতে 'আমন্ত্রণ' ; 'বাংলা থেকে আরও বেশি পর্যটক জম্মু-কাশ্মীরে আসুন..'

সিঙ্গেল বেঞ্চের যে নির্দেশ ছিল, সেই নির্দেশই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ নতুন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে, এখন যে আবদন পত্র দাখিল করা হচ্ছে, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, চিহ্নিত অযোগ্য রয়েছেন, তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নির্দেশই আজ ডিভিশন বেঞ্চের তরফেও দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই চিহ্নিত অযোগ্যরা, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এবং চিহ্নিত অযোগ্য তাঁরা যদি ইথিমধ্যেই, আবেদন পত্র দাখিল করে থাকেন বা বাতিল বলে গণ্য হবে। সেই নির্দেশই আজকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকেও বহাল রাখা হয়েছে। এই নির্দেশের পূর্ণাঙ্গ কপি এখনও হাতে আসেনি। সেটা হাতে আসলে, এর পিছনে কী যুক্তি রয়েছে, মাননীয় বিচারপতিরা সেখানে কী যুক্তি দেখিয়েছেন, সেটা স্পষ্ট হবে।

যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা চিহ্নিত অযোগ্য চাকরিহারা রয়েছেন, তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যখন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য, তিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রাজ্য এবং কমিশন উভয়েই এসেছিল। বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ ছিল, সেই নির্দেশের কোথাও বলা নেই যে, চিহ্নিত অযোগ্যরা, তাঁরা নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। এবং তাঁদের এটাও বক্তব্য ছিল যে, চিহ্নিত অযোগ্যদের ভবিষ্যতে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট কোনও সুষ্পষ্ট নির্দেশ দেয়নি। এবং তাঁদের বক্তব্য ছিল যে, তাঁদের যে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেই পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য যে ১০ নম্বর দেওয়া নিয়ে সওয়াল করা হয়েছিল, সেটাও 'সুপ্রিম' নির্দেশে কোথাও আটকানো হয়নি। তেমনটাই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের কাছে সওয়াল করেছিল।

গতকাল এই মামলার যখন শুনানি হয়, সেই সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে, খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল যে, এই চিহ্নিত অযোগ্যদের, এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ না দেওয়া হলে, এদের একটা অপূরণীয় ক্ষতি হবে।এই সওয়াল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে করা হয়েছিল। সরকারের তরফে এই সওয়ালও করা হয়েছিল, এই চিহ্নিত অযোগ্যদের, এই যে নিয়োগ প্রক্রিয়া রয়েছে সেখানে অংশগ্রহণ করতে না দিলে, সেটা কিন্তু তাঁদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে।