কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ড (Hanskhali Incident) নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর কড়া সমালোচনা শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা চড়া সুরে আক্রমণ করে বলেন, 'যাঁরা এই মুখ্যমন্ত্রীকে আনার জন্য ভোট দিয়েছেন, তাঁরা একটু বিচার করুন।'


শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ


বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন 'যাঁরা এই মুখ্যমন্ত্রীকে আনার জন্য ভোট দিয়েছেন, তাঁরা একটু বিচার করুন। যাঁরা তথাকথিত বাঙালি, তাঁরা এর বিচার করুন। মুখের ভাষা কী? তাই যেদিন আমাদের বিধায়কদের উদ্দেশে বলেছিলেন ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে গিয়েছেন, সেদিনই বলেছিলাম ভাল কোম্পানির ফিনাইল আর ব্লিচিং দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত। '


হাঁসখালিকাণ্ডে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল কিনা, দেখতে হবে। শুনেছি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’ পাশাপাশি ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ‘তৃণমূলকে টানার কী দরকার? সবাই তো তৃণমূল। ছেলেটার বাবা তৃণমূল করে তো কি হয়েছে, রং না দেখে গ্রেফতার হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'ঘটনাটা খারাপ, কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রথমেই কেন থানায় রিপোর্ট করা হয়নি? না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পরে কেসটা কি ছিল, সেটা আমরা জানাব।'


কী ঘটেছে হাঁসখালিতে


নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল যা শুনানির সম্ভাবনা।


আরও পড়ুন- 'বাংলা হাথরসে পরিণত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণকারীদের ওকালতি করছেন’ হাঁসখালিকাণ্ডে আক্রমণ অধীর চৌধুরীর