কলকাতা: শুক্রবার কলকাতায় একাধিক পুজো উদ্বোধন করলেন অমিত শাহ। এই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির নানা মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক হয়েছে দিনভর জুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের অন্যান্য নেতানেত্রীরাও নানা মন্তব্য করেছিলেন। শুক্রবার সেই প্রেক্ষিতেই পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন কাঁকুড়গাছির একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মা দুর্গা অশুভ শক্তির বিনাশকারিণী। মা আমাদের নিশ্চয়ই সেই শক্তি দেবেন। অনেকে দুর্গাপুজোকে সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত করছে। দুর্গা পুজো হবে সনাতন ধর্ম মতে। পঞ্জিকা মেনে। সেখানে সমঝোতা হবে না। মায়ের শক্তি মা দেখিয়েছেন। পিতৃপক্ষে কাঁচি নিয়ে বেরিয়ে জোর করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ফিতে কাটার ফল মা দেখিয়েছেন কলকাতার দুর্যোগ করে। আজ যেভাবে কানের পাশে কাপড় সরিয়ে এসেছেন। বার্তা একদম পরিষ্কার। নিজের ইচ্ছেমতো পঞ্জিকা তৈরি করবেন না। হিন্দু ধর্মকে 'গন্ধা ধর্ম' (খারাপ ধর্ম) বলবেন না। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলবেন না। একটু মুখটা সামলে চলুন। নইলে মা আছেন। উনি অনেক অসুর বধ করেছেন। এখন একটা অসুরকে খোঁচা দিচ্ছেন। আমরা চাই মা যেন সেটাকে ধ্বংস করেন।
এর আগেও কলকাতায় বৃষ্টি বিপর্যয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধনকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, 'পরিষ্কারভাবে আপনাদের বলছি, শনিবারদিন পিতৃপক্ষে যে তিনটে পুজো উনি উদ্বোধন করেছিলেন, তারমধ্য়ে হাতিবাগানে হিজাব পরে। শ্রীভূমি স্পোর্টিং, হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্য়য় এই মুহূর্তে ক্য়ামেরা পাঠান, থইথই করছে জলে। সর্বশক্তিমান মা দুর্গা এই পাপ মেনে নেননি।+এই লোকটাকে ( ফিরহাদ হাকিম) তাড়াচ্ছে না কেন? একে তো আগে গ্রেফতার করতে হবে। এ আর মনোজ ভার্মা আর CESC-র সঞ্জীব গোয়েঙ্কা তিনজনকে জেলে দেখতে চায় বাংলা।'
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু শুভেন্দু আক্রমণ করছে, দিল্লি-মুম্বই সুরাত ভাসার সময় কী করছিলেন আপনারা?'
এদিকে, লন্ডনে জল জমলেও ১০ দিন থাকে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে জবাব দিতে গিয়ে এবার পাল্টা লন্ডনের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী! বললেন, যদি আপনাদের আশীর্বাদে ফিরে আসতে পারি, জানি কীভাবে চালাতে হবে। এদিকে, দুর্যোগের জেরে দুর্ভোগ পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করছে বিরোধীরা।