ভূপতিনগর : দিনকয়েক আগেই বিধানসভায় হয় সৌজন্য সাক্ষাৎ। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম চর্চা হয়নি। তবে কি বরফ গলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মধ্যে সম্পর্কে ? শুরু হয় চর্চা। কিন্তু, না রাজনৈতিক সৌজন্য আর রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে পৃথক বিষয়। তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে, সেই কথা-ই আরও একবার প্রমাণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের সভামঞ্চ থেকে উঠে এল সেই দিনের সৌজন্য সাক্ষাতের প্রসঙ্গ। খোঁচা দিয়ে বললেন, "সংসদীয় রাজনীতির সৌজন্য জানি। আমাদের নরেন্দ্র মোদি সেটা শিখিয়েছেন।"


আর কী বললেন শুভেন্দু ?


শুভেন্দু বলেন, "বিধানসভার চেয়ারে বসে আছি, মার্শাল এসে বললেন, আপনি বিরোধী দলনেতা। আপনাকে লিডার অফ দ্য হাউস দেখা করতে চান। কথা বলতে চান। আমি বললাম, এ তো ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আমাকে চা খাওয়ার নাম করে একা নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর আমার বিজেপি কর্মী, যাঁরা আমাকে বা আমাদের দেখে আশায় বুক বাঁধছেন, ভাববেন সেটিং হয়ে গেছে। আমি বললাম, শর্ত আছে। আমি বললাম, একাধিক বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সৌজন্য দেখাতে পারি। তিনি শর্তে রাজি হলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা দুই মিনিটের। নমস্কার-প্রতি নমস্কার। আমরা এক কাপ চা-ও গ্রহণ করিনি। সেটা অবশ্য অন্য বিষয়। কিন্তু, আমরা বিজেপি করি। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সংসদীয় রাজনীতির সৌজন্য জানি। আমাদের নরেন্দ্র মোদি সেটা শিখিয়েছেন।"


শুধু তা-ই নয়, শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে এল নন্দীগ্রামে প্রেস্টিজ ফাইটের প্রসঙ্গও। সেই লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে ফের একবার তৃণমূলনেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, "পরিষ্কার বলতে চাই, যে শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছে, কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার হয়েছেন, সেই শুভেন্দু অধিকারী, যদি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থামাতে হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে থামাবে। এর মাঝে কোনও কথা নেই।"


প্রসঙ্গত, সংঘাতের আবহেই শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা । সঙ্গে ছিলেন মনোজ টিগ্গা ও অগ্নিমিত্রা পাল । পরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ, সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী’।


আরও পড়ুন ; সংঘাতের আবহেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু অধিকারী, কেন?