বিটন চক্রবর্তী ,পার্থপ্রতিম ঘোষ, এবিপি আনন্দ : শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে।পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের মতো প্রভাবশালীরা জেলবন্দি রয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আর এই প্রেক্ষাপটেই, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে ফের শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (Abhishek Banerjee) টানলেন গৌতম দেবের প্রসঙ্গ। অভিযোগের সত্য়তা প্রমাণিত হওয়ার মতো পর্যাপ্ত নথি আছে বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ' কালীঘাটের কাকু হোক বা শান্তনু-কুন্তল হোক, এরা সব ওঁর হাতে তৈরি এবং ওঁর লাল চুল কানে দুল যুবা তৃণমূলের বড় বড় নেতা' (Leaps and Bounds Case)
প্রতিপক্ষের অন্যতম শীর্ষ নেতা সম্পর্কে বিরোধী দলনেতার মুখে উঠে এল নতুন শব্দবন্ধ। এজেন্ট নিয়োগের মালিক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, গত বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির মুখোমুখি হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনেন নারদ মামলার প্রসঙ্গ! নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। (Suvendu Adhikari)
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন বলেছিলেন, ' এত তাড়াতাড়ি হতাশ হলে হবে? শুভেন্দু তো গ্রেফতার হবে। বিজেপি থাকবে না, ইডি-সিবিআই থাকবে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে। শুভেন্দু গ্রেফতার হবে'
এদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা।
মনে করিয়ে দেন এই প্রসঙ্গে কী বলেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। ' এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব অনেক আগে তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে আমি একাধিক ডকুমেন্ট দিয়ে দেখিয়েছি যে কীভাবে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে প্রভাব খাটিয়ে টাকা জমা করা হয়েছে। মাননীয় গৌতম দেবের অভিযোগ, পরবর্তীকালে আমাদের বা আমার অভিযোগ সত্য প্রমাণ হবে। সাফিসিয়েন্ট ডকুমেন্ট আছে।'
লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস কোম্পানির নাম প্রথম সামনে এসেছিল এক দশক আগে। তখন এই কোম্পানি নিয়ে তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। ২০১৩ সালে তিনি বলেছিলেন, ' এই যে কোম্পানি, যার নাম লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস, এই কোম্পানি, কার কোম্পানি? এই কোম্পানির মালিক কে, চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে? তাঁর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি যুব তৃণমূলের সারা দেশের চেয়ারম্যান।'
শান্তনু সেন বলেন, ' আমার নেতা আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আপনাকে যে ওয়ান ইসটু ওয়ান ডিবেটে বসার আহ্বান জানিয়েছেন হিম্মত থাকলে বসুন বুঝব কত ধানে কত চাল। '
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের আবহেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তরজার পারদ চড়ছে। কিন্তু, দিনের শেষে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে পথে নামা হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর সুরাহা কবে হবে?