পূর্ব মেদিনীপুর: ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনুমতিতে সভা শুভেন্দুর। আর সেই সভা থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েতের ইস্যুতে 'দলবদল' নিয়ে শাসকদলকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 'আমি পদত্যাগ করে দলবদল করেছি..', কেন বললেন বিরোধী দলনেতা ?


'..এরকম হলে আপত্তি ছিল না', কেন বললেন শুভেন্দু ?


মূলত এদিন শুভেন্দু বলেন, 'কারসাজি করে জনকা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথাও আমরা বিরোধী আসনে, কোথাও আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। পূর্ব মেদিনীপুরে ৮৪জন বিজেপির প্রার্থী প্রধান হয়েছেন। এত কিছুর পরেও ১৪টি জেলা পরিষদ আসনে বিজেপি জিতেছে। ১০ লক্ষ করে ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২জন প্রার্থীকে তুলেছে তৃণমূল। দল পরিবর্তন করতে গেলে, আগে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। আমি পদত্যাগ করে দলবদল করেছি, এরকম হলে আপত্তি ছিল না।'


'কেজি দরে যাদের কেনা হচ্ছে, কোনও লাভ হবে না'


খেজুরির সভা থেকে লোকসভায় সব বুথ ফাঁকা করার হুঙ্কার শুভেন্দুর। এদিন শুভেন্দু বলেন, 'আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই চলবে।' পাশাপাশি, চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান তুলে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার সংযোজন, 'পুলিশ বিভিন্ন সময়ে একের পর এক মিথ্যে মামলায় হয়রানি করছে। বিজেপি কর্মীদের অসম লড়াইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কেজি দরে যাদের কেনা হচ্ছে, কোনও লাভ হবে না। বিক্রি হয়ে যাওয়া ২ বিজেপি কর্মীকে বাদ দিয়েই পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হবে', পদ্মফুলের প্রতীকে সব কর্মাধ্যক্ষ মনোনীত হবে, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।


'সিভিক দিয়ে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে'


শুভেন্দু এদিন স্পষ্ট করেন, 'টাকা দিয়ে দল ভাঙিয়েও কোনও লাভ করতে পারবে না তৃণমূল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চায়েতে ভোটে হার্মাদ তৃণমূলের জন্য বোমা মজুত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় পুলিশকে বসিয়ে রেখে রাজ্য পুলিশ, সিভিক দিয়ে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।'


আরও পড়ুন, বিতর্ক পেরিয়ে যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু 


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)