কলকাতা: বিস্তর তর্ক-বিতর্কের পর আজই যাদবপুরে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা (CCTV) বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলির পাশাপাশি, ক্যাম্পাসের ভিতরে কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। 


ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সামিল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি। যদিও গতকয়েকদিনে এতকিছুর পরেও কয়েক বিষয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। ফের সামনে আসে সেই নিরাপত্তার বিষয়টিই। একাধিকবার সামনে আসে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের ছবিটাই।  সম্প্রতি ক্যাম্পাসে দেখা যায়, ২০-২২ পুরুষ ও মহিলা সেনার আদলে পোশাক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবনের সামনে। তারা কারা সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কীভাবেই বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারলেন? কেন গেটে আটকাল হল না? পরে জানা যায়, এরা সকলেই এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে এক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি।


সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এবার সেনার পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢোকা বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে নোটিস দিল পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বেশকিছু নথি। পাশাপাশি তলব করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে। যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে বারবার বিতর্ক উঁকি দিয়েছে।


সম্প্রতি সিসিসিটিভি ক্যামেরা হাতে যাদবপুরে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নজরদারির স্বার্থে তা লাগানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিল টিএমসিপি। একদিকে যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগানোর দাবিতে সরব তখন উল্টোদিকে স্বরূপনগরে বিরোধিতা টিএমসিপির। যে ঘটনার জেরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল স্বরূপনগরের শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজ।


আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডে জয়দীপ ছাড়াও ২ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধাদানের অভিযোগ


 যার জেরে অধ্যক্ষের ঘরে তাণ্ডব চলে। ভাঙচুর করা হয় আসবাব, সিসিটিভি। পড়ুয়াদের দাবি 'অন্যায়ভাবে ছাত্রীদের কমন রুম, টিচার্সদের কমনরুমে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। অধ্যাপিকা ও ছাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নষ্ট হচ্ছে'। অপরদিকে, অধ্যক্ষের অভিযোগ, বহিরাগত ও পড়ুয়াদের একাংশ হামলা চালিয়েছে। পাল্টা পড়ুয়াদের সমর্থন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের। তারা দ্বারস্থ হয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। পড়ুয়াদের সমর্থন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা স্বরূপনগরের তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডলের।