কলকাতা: চতুর্থীতেই পুজোর মুডে বাংলা, মণ্ডপমুখী কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ-আলোয় সাজল গোটা শহর। যানজট এড়াতে পথে নামল পুলিশ। একদিনে পরপর ১৬টি পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।কাঁকুড়গাছিতে  নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার যে বেলেঘাটায় যে পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেখানেও এদিন যান শুভেন্দু। 


করোনা আবহে দ্বিতীয় দুর্গোত্সব। চতুর্থীতেই জমজমাট তিলোত্তমা। পুরোপুরি পুজোর মুডে বাংলা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম - আলোর মালায় সেজেছে গোটা শহর। শহরের সব রাস্তাই যেন শেষ হচ্ছে নামী পুজোর মণ্ডপে। চতুর্থীতেও চোখ রাঙাতে ছাড়েনি প্রকৃতি৷ সকাল থেকেই ছিল মেঘ-রোদের লুকোচুরি৷ মাঝে মাঝে নেমেছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা চলতে পারে নবমী-দশমীতেও। কিন্তু তাতে কী! চতুর্থীতেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। যানজটে নাকাল হলেও, করোনা বিধির জন্য প্রতিমার কাছে পৌঁছতে না পারলেও ভিড়োমিটার ঊর্ধ্বমুখী।


এরইমধ্যে কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার যে পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী। কু অ্যাপের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু। 




২ মে, ভোটের ফল ঘোষণার দিন বিজেপি কর্মী অভিজিত্‍ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে।পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে।


গত ১৮ অগাষ্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায়, খুন-ধর্ষণ বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মতো গুরুতর ঘটনার ক্ষেত্রে, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।   অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে, রাজ্য পুলিশের ৩ কর্তাকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের দিয়ে এসআইটি গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটি। সেই মামলায়  হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দেয় আদালতের নজরদারিতে, খুন, ধর্ষণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বলা হয়, ৬  সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়া ৩ আইপিএস অফিসার, সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু ও রণবীর কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশে এই সিট অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত করবে।


হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআই অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগেরও তদন্ত করছে।ঘটনার তদন্তে  ১২ জনের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ওয়ারেন্ট।