দীপক ঘোষ, কলকাতা: বিধানসভায় (Westbengal Assembly) চেম্বারে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) ঢুকতে ‘নিষেধ’। সাসপেনশনে আছেন, ইনার লবি-চেম্বারে ঢুকতে নিষেধ। সাসপেনশনের কারণ দেখিয়ে নিষেধ করলেন অধ্যক্ষ। আর এর প্রতিবাদে এদিন বিধানসভা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন শুভেন্দু সহ ৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। স্পিকার জানিয়েছিলেন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা অনির্দিষ্টকাল সাসপেন্ড থাকবেন। বাজেট অধিবেশন চললেও সেখানে ঢুকতে পারবেন না। তাঁদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রিত থাকবে বিধানসভার মধ্যে। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিধানসভায় শুভেন্দুর অফিস থেকে স্পিকারের দফতরে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, নিয়ন্ত্রণের পরিধি কতটা? এরপর স্পিকারের দফতর থেকে পাল্টা জানানো হয়, ইনার লবিতে এবং চেম্বারে ঢুকতে পারবেন না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, বিরোধী দলনেতাকে চেম্বারে বসতে বাধা দেওয়া, নজিরবিহীন ঘটনা। যা অতীতে কোনওদিন ঘটেনি। এরপরই বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতা। 


চলতি বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড (Rampurhat Case) ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা (Westbengal) নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার (Assembly) দাবি করে বিজেপি। তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের হাতাহাতি বেঁধে যায়। কিন্তু, আগে থেকে নোটিস দেওয়া না থাকায়, সেই আবেদন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। এরপরই, বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন বিধায়করা ।  ভাঙে বিজেপি বিধায়কের চশমা । নাক ফাটে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। অধ্যক্ষের সামনেই সাদা পোশাকের পুলিশ এনে হামলা চালানো হয়, দাবি বিরোধী করেন দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ। 


আরও পড়ুন: Adhir Ranjan Chowdhury : 'বাংলা হাথরসে পরিণত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণকারীদের ওকালতি করছেন’ হাঁসখালিকাণ্ডে আক্রমণ অধীর চৌধুরীর