নদিয়া: কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে গন্ডগোল, পুলিশকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেছেন, 'কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। কোতোয়ালি থানার IC অমলন্দু বিশ্বাসের ভাষা থেকেই স্পষ্ট, হিন্দুদের কী চোখে দেখে মমতার পুলিশ প্রশাসন। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশি ব্যবস্থায় খামতি ছিল। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে লাঠিপেটা পুলিশের', শুক্রবারের ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ শুভেন্দুর।
অপরদিকে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিবৃতি,'বিসর্জন চলাকালীন চকেরপাড়া বারোয়ারি পুজো কমিটির সঙ্গে পুলিশের বচসা ও বিশৃঙ্খলা। পুলিশের নির্ধারিত নির্দেশ অমান্য করে প্রতিমা নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। যার ফলে অন্যান্য প্রতিমার ভাসানে বিঘ্ন ঘটে ও পুলিশের দায়িত্বপালনে বাধা সৃষ্টি হয়। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে ভাসান সম্পন্নের অনুরোধ করলে অশালীন ভাষা প্রয়োগ। পুলিশকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ চকেরপাড়া বারোয়ারির সদস্যদের। পুলিশের কাজে বাধা ও মহিলা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ হয়েছে। চকেরপাড়া বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা ও মহিলা পুলিশকর্মীকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে মামলা হয়েছে', বিবৃতি কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কালীপুজোর রাতে কোচবিহারের SP-র বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই সরানো হয়েছিল কোচবিহারের SP দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে। কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার এখন সন্দীপ কাররা। কালীপুজোর রাতে লাগাতার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবেশীদেরকে মারধর করা অভিযোগ উঠেছিলল কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ সুপারের বক্তব্য, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। কালীপুজোর রাতে দেদারে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। মাঝরাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মহিলা ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, সোমবার রাতে কোচবিহারের রেলঘুমটি এলাকায় বাজি পোড়াচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় তাঁদের মারধর করেছিলেন পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ। আহত হয়েছিলেন এক মহিলা আইনজীবী ও তাঁর স্বামী-সহ বেশ কয়েকজন। আক্রান্ত মহিলা আইনজীবী মল্লিকা কারজি বলেছিলেন,হঠাৎ করে এসপি, আমাদের সুপারিনটেন্ডেন্ট যে আছেন, ইনস্পেক্টর, উনি আর ওনার কয়েকজন লোক এসে কোনও বলাবলি নেই, কোনও কথা নেই, হঠাৎ করে বেধড়ক মারধর করল। বুঝতে পারলাম না। ওনারা কোনও ইউনিফর্ম পরেননি। সেখানে উনি কী করে একজন মহিলার গায়ে হাত দিল উইথআউট কনস্টেবল? লেডি কনস্টেবল ছাড়া কী করে গায়ে হাত দেয়? আক্রান্ত মহিলা আইনজীবীর স্বামী পার্থ রায় বলেছিলেন, এসপি নিজে স্যান্ডো গেঞ্জি প্লাস বক্সার পরে মাথার মধ্যে গুন্ডাদের মতো ফেট্টি বেঁধে লাঠি নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করলেন। কোনও কথা নেই। বাচ্চারা প্রত্যেকে মাইনর ছিল। পাল্টা পুলিশ সুপারের দাবি, শব্দবাজির অত্য়াচারের পরও মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি!