উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শিক্ষায় দুর্নীতি ও অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির অভিযোগে বিধানসভায় বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ অধ্যক্ষের। যার প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। খারিজের প্রতিবাদ করে ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের। বিধানসভার বাইরে এসে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোটা মন্ত্রিসভাকে (Cabinet) জেলে পাঠানোর দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


শুভেন্দুর তোপ:
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'চোরেদের ক্যাবিনেট। অর্পিতার ক্যাবিনেট। অপা সিন্ডিকেটের ক্যাবিনেট। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাঁরা অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করেছেন তাঁদের জেল চাই। ক্যাবিনেটের দায়বদ্ধতা হচ্ছে বিধানসভা। অধ্যক্ষ বললেন বিচারের অধীনে, আমরা করতে পারব না।'


তিনি আরও বলেন, 'এটা একটা বড় দুর্নীতি। একটা ক্যাবিনেট মেধাকে বাদ দিয়ে অযোগ্যদের সুপারিশ করছে। গোটা মন্ত্রিসভার জেলে যাওয়া উচিত। ক্যাবিনেট দায়বদ্ধ বিধানসভায়। সেই বিধানসভায় বলার সুযোগ দিচ্ছে না। এই অযোগ্যদের নিয়োগের  সুপারিশ কারা করল? আমরা পুরো ক্যাবিনেটের জেল চাই।'

তৃণমূলের তোপ:
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বললেন, 'ভারতবর্ষের ৩০৩জন সাংসদের মধ্যে ১১৬ জন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাদের নিয়ে বিজেপি দেশ চালাচ্ছে। সংসদে তারা গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে দেয়। এখানে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে বিরোধীরা বিরোধিতা করতে পার, তারা যা খুশি করতে পারে।'


কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, 'দিদি-মোদি সুসম্পর্ক যারা ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত। দিল্লিতে দোস্তি, পশ্চিমবঙ্গে কুস্তি দেখিয়ে কী লাভ। দিদির সঙ্গে মোদির কোনও বিরোধ নেই। অতএব নীচের তলায় বিরোধ করে কোনও লাভ হবে না।'


মালদার ঘটনায় সরব:
মানিকচকের বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পর্কে কুকথা বলেছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


কী বলেছিলেন সাবিত্রী মিত্র:
মোদি-অমিত শা-কে দুর্যোধন, দুঃশাসন বলে কটাক্ষ করেছিলেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেছিলেন, 'মমতাকে শূর্পনখা বললে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুর্যোধন, দুঃশাসন বলব।’

সম্প্রতি বিধানসভায় সৌজন্যের আবহ দেখা গিয়েছিল। অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষে মুখ্যমন্ত্রী  বিধানসভায় তাঁর ঘরে ডেকে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, অশোক লাহিড়ি, মনোজ টিগ্গাকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ'।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল, আদালতে নিয়ে আসার সময় মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের