কলকাতা: বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের শেষ দিনে তুলকালাম পরিস্থিতি। গোটা অধিবেশন জুড়ে চলল 'চোর স্লোগান'। শুধু তাই নয়, একদিনে সাসপেন্ড হলেন ৫ জন বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীকে ধরলে, ৪ দিনের অধিবেশনে সাসপেন্ড হলেন ৬ জন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কদের বেঞ্চ থেকে 'চাকরিচোর', 'জেনে গেছে জনতা, আসল চোর মমতা' - এমন নানাবিধ স্লোগান উঠতে থাকে। সাসপেন্ড শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষ। শঙ্কর ঘোষকে বিধানসভা থেকে বাইরে বার করার চেষ্টা ৭-৮ জন মার্শালের। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক, অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। মিহির গোস্বামীকে মার্শাল দিয়ে বাইরে বার করার নির্দেশ অধ্যক্ষের। 

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,  'শঙ্কর ঘোষ ও বঙ্কিম ঘোষকে মারধর করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিয়ে বাঙালি হেনস্থার কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী এর আগে এমন বিরোধিতার মুখে পড়েননি। সংখ্যালঘু তোষণ ও বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর চেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরেছেন, ভবানীপুরেও হারাব। শিক্ষক দিবসের তারিখ বদলে দিয়েছে তৃণমূল সরকার', এর থেকে লজ্জার কিছু নেই'। 

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এও বলেন, বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে গুন্ডামি করা হল আজ। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিতে গন্ডগোল হয়েছে বলেও আক্রমণ বিরোধী দলনেতার।                                   

এদিকে, রাজ্য বিধানসভায় এই বেনজির সংঘাতের জল গড়িয়েছে রাজধানীতে। শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জে পি নাড্ডাকে বিধানসভায় গন্ডগোলের ভিডিও পাঠান শুভেন্দু অধিকারী।                                  

অন্যদিকে, শাসক-বিরোধী সংঘাতে বিধানসভায় তুলকালাম, সোশালে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বিজেপির। সোশাল পোস্টে বলা হয়, 'বিধানসভায় হামলা চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পবিত্র ভবনেই বিরোধী বিধায়কদের আক্রমণ করলেন। সিপিএম যে ভুল করেছিল, উনি সেই ভুলই করছেন, এবার তৃণমূল শেষ। তৃণমূল রাজপথে লড়াই চায়, তাহলে নিরাপত্তা ছাড়া রাস্তায় আসুন। আপনাদের সবার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছেন'।