কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডবের ঘটনায় তৃণমূলকেই নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তাঁর তোপ, অরাজনৈতিক মিছিলে গুন্ডা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর জি করে নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন নারীরা। সারা বাংলার সঙ্গেই আর জি করের কাছেও জমায়েত ছিল। ওই রাতেই আর জি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে বেশ কিছু যুবক তাণ্ডব চালায়। হাসপাতালের পরিকাঠামো, এমারজেন্সি রুম, প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘর- সব কিছু ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে পুলিশও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দপ অধিকারী। X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তাঁর তোপ, 'তৃণমূল গুন্ডাদের আর জি কর মেডিক্যালের অরাজনৈতিক মিছিলে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি মনে করেন উনিই গোটা বিশ্বে সবথেকে বেশি চালাক। উনি ভেবেছিলেন আন্দোলনকারী সেজে মানুষের সঙ্গে মিশে গুন্ডামি চালাবে তৃণমূলের গুন্ডারা, আর কেউ বুঝবে না।' পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গুন্ডাদের সেফ প্য়াসেজ দিয়েছে পুলিশ। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর দাবি, 'ভাঙচুর করা হয়েছে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সিবিআই-এর হাতে না আসে।' তাঁর প্রশ্ন, 'গোটা রাজ্যে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হল, আর জি কর মেডিক্যালেই গন্ডগোল হল? কেন?'
ভাঙচুর হাসপাতাল:
মাঝরাতে RG কর মেডিক্যাল কলেজে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলল কয়েকশো লাঠিধারীর তাণ্ডব। জাতীয় পতাকা, আর মুখে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিয়ে রড, কাচের বোতল, ইট হাতে দাপিয়ে বেড়াল দুষ্কৃতীরা। RG কর হাসপাতাল থেকে শুরু করে শ্যামবাজার পর্যন্ত এলাকা ঘণ্টাতিনেক ধরে হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। ভাঙচুর চলল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, HDU, ENT বিভাগ, নার্সিং স্টাফদের ঘর, মেডিসিন স্টোর। তিনতলায় কব্জা ভেঙে উপড়ে ফেলা হল তদন্তকারী সংস্থার সিল করা দরজা। সিঁড়ি দিয়ে উঠে চারতলার সেমিনার হলেও ভাঙচুর চালানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। কিন্তু চারতলার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় রক্ষা পেল সেমিনার হল।
ভাঙচুর চলল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যারাক, OC-র ঘর, CC ক্যামেরার সার্ভার রুমে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।