কলকাতা: ডিএ নিয়ে এবার সরকারি অফিসে 'তালা-চাবি' দাওয়াই শুভেন্দু অধিকারীর। সরকারি কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করতে রাজ্য সরকার কড়া নির্দেশিকা জারি করলেও, ২ দিনের কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনারে বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান এদিন ২৪ দিনে পড়ল। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে সোম-মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 


বিধানসভা চত্বরে ডিএ ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ডিএ সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের, তার রাজস্ব আদায় থেকে দিতে হয়। অন্য রাজ্য যা করছে সেটা এই রাজ্যকেও করতে হবে। একমাত্র ওষুধ হচ্ছে অফিসগুলোতে তালা-চাবি লাগানো। জরুরি পরিষেবা ছাড়া তালা-চাবি লাগান। যতক্ষণ না ডিএ দিচ্ছে, আটকে রাখুন, জব্দ হবে। এখন আংশিক করছেন, আগামীদিনে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন, আমাদের সমর্থন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে জব্দ করতে হয় সরকারি কর্মীরা জানে। আজ আংশিক সফল হয়েছে, আগামী দিনে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে, আমরা পাশে আছি'। 


রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বকেয়া DA-র দাবিতে কর্মবিরতি জারি ছিল আজ। আজ ও কাল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলবে। বিকাশ ভবনে কাজে গেলেও কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ করেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। পাল্টা ধিক্কার দিবস পালন তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের। মহাকরণে বেশকিছু দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি বেশ কম ছিল। কর্মবিরতির আঁচ পড়েনি কলকাতা পুরসভায়, এমনটাই সূত্রের খবর। কর্মবিরতিতে নৈতিক সমর্থন জানালেও কলকাতা পুরসভায় হাজিরা ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ, এমনটাই জানান হয়েছে। 


আরও পড়ুন, ডিএ নিয়ে অস্বস্তিতে শাসকদল, জলপাইগুড়িতে তৃণমূলেরই শিক্ষক সেল থেকে গণ পদত্যাগ শিক্ষকদের


যদিও এই ডিএ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যেই। তৃণমূলপন্থী এক সরকারি কর্মী জানিয়েছেন, পেনডাউনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। যারা উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের ডিএ মমতা দিয়েছেন ৩ পারসেন্ট, আমরা এটা নিয়ে খুশি। 


অন্যদিকে, বকেয়া ডিএ (DA)-র দাবিতে কর্মবিরতির মধ্যেই তৃণমূলের (TMC) শিক্ষক সেল (Teacher Cell) থেকে গণ পদত্যাগ (Mass Resignation)। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাটে অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগ ১৮ জন শিক্ষকের। বকেয়া ডিএ ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেই সিদ্ধান্ত, দাবি পদত্যাগী শিক্ষকদের।